রানে ফিরেও আবাহনীকে জেতাতে পারলেন না শান্ত-নাঈম
বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিভাবান ক্রিকেটার মানা হয় নাজমুল হোসেন শান্তকে। ভালো কিছুর ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে নিজেকে যেন হারিয়ে ফেলেন। যে ধারায় সব শেষ শ্রীলঙ্কা সিরিজের দলেও জায়গা হয়নি তার। এমনকি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতেও রানের দেখা মিলছিল না তার। তবে অবশেষে ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দিলেন এ তরুণ। রানের দেখা পেলের মোহাম্মদ নাঈমও। যদিও ১ রানের জন্য হাফসেঞ্চুরি মিস করেছেন দুইজনই। কিন্তু তারপরও জয় পায়নি আবাহনী লিমিটেড। টানা তিন জয়ের পর হারের দেখা পেল ঐতিহ্যবাহী দলটি।
সাভারের বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে এদিন আবাহনীকে ৮ রানে হারিয়েছে খেলাঘর সমাজকল্যাণ সমিতি। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬৪ রান করে খেলাঘর। জবাবে নির্ধারিত বল বাকি থাকতে লক্ষ্যে পৌঁছায় আকাশী নীল শিবির।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামা খেলাঘরের শুরুটা ছিল দারুণ। ইমতিয়াজ হোসেন তান্না ও রাফসান আল মাহমুদের ব্যাটে ওপেনিং জুটিতে আসে ৪২ রান। এরপর রাফসান আউট হলে মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে আরও একটি দারুণ জুটি গড়েন ইমতিয়াজ। স্কোরবোর্ডে ৬২ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটসম্যান।
মূলত ইমতিয়াজের ব্যাটেই এগিয়ে যাচ্ছিল খেলাঘর। তবে মিরাজকে তুলে নেওয়ার পর ম্যাচে ফিরে আসে আবাহনী। ১১ ওভারেই শতরান তুলে নেওয়া খেলাঘর পরের ৯ ওভারে করতে পারে আর ৬২ রান। ৬০ রানে ব্যবধানে হারায় পাঁচ উইকেট। ফলে ১৬৪ রানের বেশি করতে পারেনি খেলাঘর।
দলকে লড়াকু সংগ্রহ এনে দিয়ে ৬৬ রানে মোসাদ্দেক হোসেনের বলে বোল্ড হয়ে যান ইমতিয়াজ। ৪৬ বলে ৬টি চার ও ৩টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ২৫ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৩ রান আসে মিরাজের ব্যাট থেকে। রাফসান করেন ১৮ রান। আবাহনীর পক্ষে ২টি করে উইকেট পেয়েছেন আরাফাত সানি ও মোসাদ্দেক।
লক্ষ্য তাড়ায় আবাহনীর শুরুটা ভালো হয়নি। রানের খাতা না খুলতেই বিদায় নেন মুনিম শাহরিয়ার। তবে দলীয় ১২ রানে বড় ধাক্কাটি খায় আবাহনী। ছন্দে থাকা ব্যাটসম্যান অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমকে হারায় তারা। ব্যক্তিগত ৮ রানে সাজঘরে ফেরেন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।
তবে তৃতীয় উইকেটে দলকে আশা দেখান শান্ত ও নাঈম। নাঈম কিছুটা ধীর গতিতে ব্যাট করলেও রানের গতি বাড়ানোর কাজে ছিলেন শান্ত। গড়েন ৮৫ রানের দারুণ এক জুটি। কিন্তু এ জুটি ভাঙতেই চাপে পড়ে যায় দলটি। পরে মোসাদ্দেক ও আফিফ হোসেনরাও রানের গতি বাড়াতে পারেননি। ফলে ৮ রান দূরেই থামে দলটি।
৩৩ বলে ৭টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪৯ রানের ইনিংস শান্ত। ৪৯ রান করেন নাঈমও। ৪২ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন এ ওপেনার। ১৮ বলে ২২ রান করে অপরাজিত থাকেন আফিফ হোসেন। ১৯ বলে ২১ রান করেন মোসাদ্দেক। খেলাঘরের পক্ষে ২টি করে উইকেট পেয়েছেন রনি চৌধুরী ও সৈয়দ খালেদ আহমেদ।
দিনের অপর ম্যাচে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ৪৪, সাব্বির হোসেনের ৩৬ ও রবিউল ইসলাম রবির ৩৪ রানে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬২ রান করে শাইনপুকুর। জবাবে সাইফ হাসানের ৫০, ফজলে মাহমুদের ৪১ ও শেষ দিকে ফরহাদ রেজার ঝড়ো ২৭ রানে ২ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছায় দোলেশ্বর।
বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে অপর ম্যাচে ওল্ড ডিওএইচএসকে ২ রানে হারিয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। মাইশুকুর রহমানের হার না মানা ৬৮ রানে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৯ রান করে ব্রাদার্স। জবাবে আনিসুল ইসলাম ইমনের ৬৪ রান, রাকিন আহমেদের ৩৩ ও মাহমুদুল হাসান জয়ের ৩৪ রানের পরও ২ রান দূরে থামে ডিওএইচএস। মাত্র ৩টি উইকেট হারালেও রানের গতি না বাড়াতে পাড়ায় ১৩৭ রানে আটকে যায় দলটি।
Comments