গাইবান্ধায় ব্যবসায়ী হত্যার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ, ১০ জুন হরতাল আহ্বান

গাইবান্ধায় জুতা ব্যবসায়ী হাসান আলী (৪৫) হত্যার বিচারের দাবিতে শহরের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে হাসান হত্যার প্রতিবাদ মঞ্চ, গাইবান্ধা। আজ সোমবার দুপুর ১২টায় শহরের আফজাল সুজ শো-রুমের সামনে, পৌরসভা মোড় ও কাচারি বাজার মোড়ে তিনটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
গাইবান্ধায় ব্যবসায়ী হাসান আলী হত্যার বিচারের দাবিতে শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে হাসান হত্যার প্রতিবাদ মঞ্চ। ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধায় জুতা ব্যবসায়ী হাসান আলী (৪৫) হত্যার বিচারের দাবিতে শহরের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে হাসান হত্যার প্রতিবাদ মঞ্চ, গাইবান্ধা। আজ সোমবার দুপুর ১২টায় শহরের আফজাল সুজ শো-রুমের সামনে, পৌরসভা মোড় ও কাচারি বাজার মোড়ে তিনটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

ব্যবসায়ী হাসান আলী হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) অপসারণসহ চার দফা বাস্তবায়নের দাবিতে কাজ করছে হাসান হত্যার প্রতিবাদ মঞ্চ। সমাবেশ থেকে আগামী ১০ জুন সকাল ৬টা থেকে ২ টা পর্যন্ত গাইবান্ধা শহরে ডাকা হরতাল পালনের আহবান জানানো হয়।

হাসান হত্যার প্রতিবাদ মঞ্চের সমন্বয়ক আমিনুল ইসলাম গোলাপের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নিহত হাসান আলীর স্ত্রী বিথী বেগম, পুত্র কায়েস, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মিহির ঘোষ, জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাবু প্রমুখ।

সমাবেশে বিথী বেগম তার স্বামীর হত্যায় যারা জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে বলেন, 'আমার স্বামী একজন ব্যবসায়ী ছিলেন, তিনি থানা পুলিশের সহযোগিতায় নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। তার হত্যাকারীরা যেন বিচারের মুখোমুখি হয় এজন্য ব্যবসায়ী ভাইদের সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাই।'

সমাবেশে নিহত হাসানের ছেলে কায়েসও তার বাবার হত্যার বিচার চান।

এর আগে, স্থানীয় গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক মাসুদ রানার কাছ থেকে কিছু টাকা ঋণ নিয়ে তা সময়মতো পরিশোধ করতে পারেননি হাসান। পরে, গত ফেব্রুয়ারিতে মাসুদ তাকে নিজ বাড়িতে ধরে নিয়ে গিয়ে কয়েকদিন আটকে রাখেন। এরপর পুলিশ হাসানকে মাসুদের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে।

হাসানের নামে আগে মামলা ছিল। কিন্তু, পুলিশ তাকে মাসুদ রানার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে আদালতে চালান না দিয়ে আবার মাসুদ রানার হাতে তুলে দেয় বলে পরিবারের অভিযোগ। 

পরে, গত ১০ এপ্রিল মাসুদ রানার বাড়ির টয়লেট থেকেই ঝুলন্ত অবস্থায় হাসানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে গাইবান্ধার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ব্যবসায়ী সংগঠন, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন আন্দোলন করে এবং গঠিত হয় হাসান হত্যার প্রতিবাদ মঞ্চ। গত ৩১ মে গাইবান্ধা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অবস্থান ও আইজিপি বরাবর স্মারকলিপি জমা কর্মসূচি থেকে মঞ্চের নেতৃবৃন্দ আগামী সাত দিনের মধ্যে সদর থানার ওসি’র অপসারণসহ চার দফা দাবি মেনে নেয়া না হলে ১০ জুন হরতাল পালনের ঘোষণা দেন।

আরও পড়ুন:

ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার, আ. লীগ নেতা আটক

Comments