নোয়াখালীতে লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য, ৪০ জনকে জরিমানা

জেলায় আক্রান্তের হার ২৩.৬৭ শতাংশ
নোয়াখালী পৌরসভা ও সদর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে বিশেষ লকডাউনের মধ্যেও সড়কে যানজট দেখতে পাওয়া যায়। ছবি: স্টার

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ৫ জুন থেকে নোয়াখালী পৌরসভা ও সদর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে বিশেষ লকডাউনের তৃতীয় দিনেও মানুষের মধ্যে সচেতনতা দেখা যায়নি। শহরের বেশির ভাগ সড়কে গত কয়েকদিনের তুলনায় ছোট গাড়ির চাপ বেড়েছে। লকডাউন অমান্য ও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ৪০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সোমবার সকালে জেলা শহর মাইজদী ও নেয়াজপুর ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ মানুষের মুখে মাস্ক নেই। দোকান পাট, কাঁচাবাজারে স্বাস্থ্য বিধি মানছেন না অনেকে। সড়কে যানবাহনের চাপ রয়েছে। কয়েকটি সড়কে যানজটেরও সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে, সচেতনতা বাড়িতে জেলা প্রশাসন ও নোয়াখালী পৌরসভার পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে। শহরের বিভিন্ন স্থানে প্রশাসনের তৎপরতা দেখা গেছে। বিভিন্ন স্থানে বসানো হয়েছে পুলিশের চেক পোস্ট।

এসময় পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়নে বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালিয়ে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করায় ৪০টি মামলায় বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৩৩ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। লকডাউন কার্যকর করতে জেলা প্রশাসনের ৬ জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ৬টি ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছে।

নোয়াখালীতে আক্রান্তের হার ২৩.৬৮ শতাংশ

নোয়াখালীতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৯৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৯৪ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। আক্রান্তের হার ২৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ। নোয়াখালী সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায় আক্রান্তদের মধ্যে নোয়াখালী সদর উপজেলায় ৭১ জন, সুবর্ণচরে ১ জন, বেগমগঞ্জে ১০ জন, বেগমগঞ্জে ১০ জন সোনাইমুড়ীতে ১ জন, চাটখিলে ৩ জন, সেনবাগে ৫ জন, কোম্পানীগঞ্জে ২ জন ও কবিরহাটে ১ জন।

জেলায় মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৯ হাজার ১৫১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে বেগমগঞ্জে একজন মারা গেছেন। জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ১২৪।

নোয়াখালী কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে রোগী ভর্তি আছেন ৩৯ জন। আইসোলেশনে আছেন ৯ জন। নোয়াখালী সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নোয়াখালী জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান বলেন, করোনা সংক্রমনের উর্ধ্বগতি রোধে সদর উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও নোয়াখালী পৌরসভা এলাকায় কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে এবং লোকজনদের মাঝে স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়াতে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে পাঁচ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ৬টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন।

গত ৪ জুন বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কমিটির জরুরি বৈঠকে নোয়াখালী পৌরসভা ও সদরের ৬টি ইউনিয়ন এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হয়। বিশেষ লকডাউন ৫ জুন ভোর ৬টা থেকে ১১ জুন রাত ১২ট পর্যন্ত চলবে।

Comments

The Daily Star  | English

BGMEA wants 3-month window from India to clear pending shipments

The association urges the interim government to send a letter to India seeking the opportunity

3h ago