প্রবাসে

মালয়েশিয়ায় ৬২ বাংলাদেশিসহ ১৫৬ বৈধ কাগজপত্রহীন অভিবাসী গ্রেপ্তার

মালয়েশিয়ার সাইবার জায়া এলাকার নির্মাণাধীন স্থাপনা থেকে আটক অভিবাসীরা। ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ায় ৬২ বাংলাদেশিসহ ১৫৬ বৈধ কাগজপত্রহীন অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। বাকিরা ইন্দোনেশিয়া নেপাল, মিয়ানমার, পাকিস্তান ও ভারতের নাগরিক।

মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বার্নামার জানিয়েছে, গত রোববার রাতে দেশটির সাইবার জায়া এলাকার একটি নির্মাণাধীন স্থাপনা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক সেরি ইন্দেরা খায়রুল দাযাইমি দাউদ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গত রোববার রাত ১১টার দিকে পরিচালিত অভিযানে প্রায় ২০২ বিদেশির কাগজপত্র পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১২ জন নারী এবং দুই শিশু রয়েছে।

তিনি আরও জানিয়েছেন, আটককৃতদের মধ্যে ৪৬ জনের বৈধ ওয়ার্ক পারমিট থাকায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি ১৫৬ জনের কোনো বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তাদের গ্রেপ্তার করে সেমুনিয়াহ ইমিগ্রেশন ডিপোর স্ক্রিনিং সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। আটক অভিবাসীদের বয়স চার বছর থেকে শুরু করে ৫০ বছরের কম।

তিন মাস গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের পরে মালয়েশিয়ান পুলিশ (পিডিআরএম), জাতীয় নিবন্ধনকরণ বিভাগ (জেপিএন), শ্রম বিভাগ (জেটিকে) ও জন প্রতিরক্ষা বাহিনী (এপিএম) যৌথভাবে এই অভিযানে অংশ নেয়।

অপারেশন শেষে সাংবাদিকদের অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক খায়রুল দাযামি জানিয়েছেন, কাগজপত্রহীন অভিবাসী কর্মীদের স্থাপনাটিতে অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এছাড়া অভিবাসী কর্মীদের স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি (এসওপি) ছিল না।

তিনি বলেন, ‘এই অবৈধ বন্দোবস্ত বা বসবাসে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। কারণ, তারা চলাচল নিয়ন্ত্রণ আদেশের (এমসিও) অধীন নির্ধারিত মানের অপারেটিং পদ্ধতি মেনে চলতে ব্যর্থ হয়েছে।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘অভিবাসন বিভাগ শুধুমাত্র কাগজপত্রহীন অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিল, তাদের নিয়োগকারীদের নয়।’

‘দাবিগুলো অসত্য। কারণ, ২০১৯ সালে ইমিগ্রেশন আইনের অধীনে মোট এক হাজার ৫৯ নিয়োগকারীকে আদালতে নানা অপরাধে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। এতে মোট আরএম ১৯ দশমিক ৩ মিলিয়ন মালয়েশিয়ান রিংগিত জরিমানা হয়েছিল।

‘গত বছর ১৩০ নিয়োগকারীকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। তাদের মোট ১০ মিলিয়ন রিংগিতের চেয়ে বেশি জরিমানা হয়েছিল,’ যোগ করেন তিনি।

অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক আরও জানিয়েছেন, এ বছরের প্রথম পাঁচ মাসে ১৩০ নিয়োগকারীকে ৩ দশমিক ২ মিলিয়ন রিংগিত জরিমানা করা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

BGMEA wants 3-month window from India to clear pending shipments

The association urges the interim government to send a letter to India seeking the opportunity

3h ago