‘ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে পারে’ শিক্ষার্থীদের ‘সামাজিক মাধ্যমে’ না লেখার জন্য বিজ্ঞপ্তি
‘বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে পারে’ এমন কিছু ‘সামাজিক মাধ্যমে’ না লেখার জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ। আজ বুধবার বিভাগের সভাপতি আনোয়ারা বেগম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘শিক্ষার্থীরা বিভাগ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করবে না। এতে বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে পারে।’
তবে এটি নির্দেশ নাকি অনুরোধ সে বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ নেই। যদি কোনো শিক্ষার্থী বিভাগ নিয়ে কিছু লেখেন তবে সেক্ষেত্রে কী শাস্তি হতে পারে, সেটিও বলা হয়নি।
পরিচয় গোপন রাখার শর্তে ওই বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘চার মাস হলো স্নাতকের ফল আটকে আছে। বন্ধের মধ্যে কেন ফল প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না? শিক্ষকদের গড়িমসি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখা যাবে না এমনটা হতে পারে না। আর সামাজিক মাধ্যম বলতে কী বোঝানো হয়েছে, সেটিও স্পষ্টভাবে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ নেই। যদি ধরে নেই যে, ফেসবুকে না লেখার কথা বলা হয়েছে—তবে এটি বাক্স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ।’
বিজ্ঞপ্তিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা এটি নিয়ে মন্তব্য ও সমালোচনা করেছেন। গৌরচাঁদ ঠাকুর নামের এক শিক্ষার্থী ফেসবুকে লিখেছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কোন অনুগত দাস তৈরির কারখানা নয়।’
ওই বিভাগের এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘কোন আইনে/নীতিমালায়/বিধিতে বিভাগ কর্তৃপক্ষ এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে, তা স্পষ্ট করতে হবে। তা না হলে এ বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করে নিতে হবে।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘এটি কোনো নিষেধাজ্ঞা নয়। অনেক সময় বিভাগের শিক্ষার্থীরা আবেগপ্রবণ হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক কিছু লিখে থাকে। এতে বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। তাই একটি সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।’
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমি বিজ্ঞপ্তিটি সমর্থন করি। বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে কোনো শিক্ষার্থী যদি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উল্টাপাল্টা কিছু লেখেন তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
Comments