একবার উৎপাদন শুরু হলে দেশে কোনো টিকার সংকট হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অনুদান হিসেবে প্যালেস্টাইনকে মেডিকেল সামগ্রী দেয়ার অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। ছবি: ইউএনবি

করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদন বিষয়ে চলমান আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে জানিয়ে বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, শিগগিরই দেশে যৌথভাবে টিকা উৎপাদন বিষয়ে একটি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হবে।

তিনি অবশ্য বলেছেন যে, বাংলাদেশে টিকা উত্পাদনের জন্য স্থানীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি নির্বাচন করা সংশ্লিষ্টরা দেখবেন।

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অনুদান হিসেবে প্যালেস্টাইনকে মেডিকেল সামগ্রী দেয়ার একটি অনুষ্ঠানে তিনি  বলেন, ‘তারা আসবে এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সক্ষমতা দেখে উৎপাদনে যেতে পারে।’

মন্ত্রী বলেন, একবার উৎপাদন শুরু হলে দেশে কোনও টিকার সংকট তৈরি হবে না। আশা করি, আমরা নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে ভ্যাকসিন রপ্তানিকারক হয়ে উঠব।

এর আগে, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, চীনের কাছ থেকে বাংলাদেশের ভ্যাকসিন সংগ্রহ এবং যৌথভাবে করোনার টিকা উৎপাদনের ব্যাপারে দুই দেশের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা চলছে।

বুধবার ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম এবং বাংলাদেশ চীন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিসিসিসিআই) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন চীনা রাষ্ট্রদূত। অনুষ্ঠানে তিনি জানান, যৌথভাবে টিকা উৎপাদনের ব্যাপারে আলোচনা বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে।

রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, ‘চীনের দুঃসময়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মেডিকেল সামগ্রী সহায়তার কথা ভুলবে না চীন। এরই ধারাবাহিকতায়, বাংলাদেশের প্রয়োজনের বন্ধুত্বের বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে চীন।’

তিনি জানান, চীন সরকার খুব দ্রুতই দ্বিতীয় দফায় উপহার স্বরূপ আরও টিকা পাঠাবে। আগামী ১৩ জুনের মধ্যে টিকা বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে বলে আশা ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত লি।

এর আগে গত ১২ মে চীন সরকারের পক্ষ থেকে ৫ লাখ ডোজ করোনার টিকা উপহার হিসেবে বাংলাদেশে আসার ৯ দিনের মাথায় চীন সরকার দ্বিতীয় দফায় উপহার স্বরূপ টিকা পাঠানোর ঘোষণা দেয়।

Comments

The Daily Star  | English

A blatant river grab

Confluence of Dhaleshwari and Shitalakkhya under siege from Shah Cement

11h ago