২০২০ সালে পর্যটন খাতে ক্ষতি প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা: টোয়াব
মহামারির কারণে পর্যটন খাতে গত বছর প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে এবং এ শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রায় ৪০ লাখ মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প সংশ্লিষ্ট সংগঠন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে টোয়াবের সভাপতি মো. রাফেউজ্জামানের সভাপতিত্বে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে টোয়াব সভাপতি ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের গভর্নিং বডি মেম্বার রাফেউজ্জামান বলেন, 'পর্যটন এখন বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম শিল্প। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের জিডিপিতে পর্যটন চার দশমিক চার শতাংশ যোগ করেছিল। মহামারির কারণে পর্যটন খাতকে গত বছর প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার লোকসান গুনতে হয়েছে। এ শিল্পে জড়িত প্রায় ৪০ লাখ মানুষ এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে।'
তিনি জানান, গত বছর করোনার কারণে শুধু টোয়াব সদস্যদের ক্ষতি হয়েছে পাঁচ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। আর চলতি বছরের মার্চ থেকে পর্যটন খাতে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়ছে।
চলমান পরিস্থিতি এ বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত হলে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় নয় হাজার কোটি টাকার বেশি হতে পারে বলে জানান তিনি।
টোয়াব জানায়, গত বছর করোনা মহামারির শুরু থেকে ট্যুর অপারেটর ও পর্যটন শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থার দাবি জানানো হয়েছিল, যা এখনও সফলতার মুখ দেখেনি। এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে এ খাতে চার হাজার বত্রিশ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যা আগের বাজেটের চেয়ে ৩৪৪ কোটি টাকা বেশি।
তবে, এই বরাদ্দ বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশের জন্য খুবই সামান্য বলে জানায় টোয়াব।
এ অবস্থায় দেশের পর্যটন শিল্পকে ও ট্যুর অপারেটরদের বাঁচাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়ার পাশাপাশি ট্যুর অপারেটরদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা, পরবর্তী বছরের ট্রেড লাইসেন্স রিনিউয়াল ফি মওকুফ, টোয়াব সদস্য ও তাদের পরিবার এবং টোয়াবের সচিবালয়ের কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকার ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছে টোয়াব।
Comments