রাজশাহী মহানগরীতে লকডাউন শুরু

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে আজ শুক্রবার বিকেল ৫টা থেকে রাজশাহী মহানগর এলাকায় সাত দিনের লকডাউন শুরু হয়েছে। লকডাউন কার্যকর করতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং মাঠ প্রশাসন কর্মীরা দায়িত্ব পালন করছেন।
শুক্রবার বিকেলে রাজশাহীতে লকডাউন কার্যকর করতে নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে প্রশাসনের অবস্থান। ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে আজ শুক্রবার বিকেল ৫টা থেকে রাজশাহী মহানগর এলাকায় সাত দিনের লকডাউন শুরু হয়েছে। লকডাউন কার্যকর করতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং মাঠ প্রশাসন কর্মীরা দায়িত্ব পালন করছেন।

শুক্রবার বিকেলে সরেজমিনে নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট, কাঁটাখালি, শিরোইল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে পুলিশ ও র‍্যাব সদস্যরা অবস্থান নিয়ে আছে।

রাজশাহীতে লকডাউন কার্যকর করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অবস্থান। ছবি: সংগৃহীত

এছাড়া, মাইকিং করে লকডাউন কার্যকর করার আহবানের পাশাপাশি সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে প্রশাসনের মাঠকর্মীদের।

এর আগে, জেলার করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় প্রশাসন রাজশাহী শহরে সাত দিনের সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করে। শুক্রবার বিকেল ৫টা থেকে বৃহস্পতিবার ১৭ই জুন মধ্যরাত পর্যন্ত এই লকডাউন চলবে বলে জানায় প্রশাসন।

লকডাউন চলাকালে রাজশাহী শহর থেকে বাস ও রেল চলাচল বন্ধ থাকবে এবং জেলার সব অফিস-আদালত বন্ধ থাকবে।

আজ শুক্রবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহীতে ৩৭৩টি নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ১৪৩ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

এছাড়া, ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হয়েছেন ৪৩ জন। এখন মোট ২৯৭ জন রোগী হাসপাতালটির করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন।

আরও পড়ুন:

রামেক করোনা ইউনিটে ২৪ ঘণ্টায় ১৫ জনের মৃত্যু

আজ মধ্যরাত থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত রাজশাহীতে ট্রেন চলাচল বন্ধ

সিদ্ধান্তহীনতায় রাজশাহী অঞ্চলে ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে

রামেক হাসপাতালে নতুন ওয়ার্ড বাড়ানোমাত্র করোনা রোগীতে পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago