খুমেক করোনা ইউনিটে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ৫, শনাক্ত ৩৪ শতাংশ
খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে একজন কোভিড-১৯ পজিটিভ ছিলেন, বাকিরা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।
আজ শনিবার সকালে করোনা ইউনিটের ফোকাল পারসন ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সুহাস রঞ্জন হালদার দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘কোভিড পজিটিভ ওই রোগীর বাড়ি বাগেরহাট জেলায়। তিনি রেড জোনে ছিলেন। মৃত অন্য চার জন ছিলেন ইয়েলো জোনে।’
সূত্র জানিয়েছে, খুমেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে রেড জোনে ৬৫ জন, ইয়েলো জোনে ২১ জন, হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) ৩২ জন ও নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ১৩ জন চিকিৎসাধীন।
খুলনা মেডিকেল কলেজ ল্যাবে আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে ১৩৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে খুলনা জেলার নমুনা ছিল ৩৩২টি, তাতে ১১৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩৪ শতাংশ।
শনাক্ত ১৩৫ জনের মধ্যে খুলনায় বাড়ি ১১৬ জনের, বাগেরহাটের ১৩ জন, সাতক্ষীরার তিন জন, যশোরের দুই জন ও একজনের বাড়ি পিরোজপুর জেলায়।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিচ তলায় ১০০ শয্যার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত রোগী ভর্তি রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে খুলনা সদর হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতালে পরিণত করার সুপারিশ করা হয়েছে।
আজ সকাল পর্যন্ত খুমেক করোনা ইউনিটে ১০০ শয্যা বিপরীতে ১৩১ জন রোগী ভর্তি আছেন। এ বিষয়ে ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার বলেন, ‘অতিরিক্ত রোগী ভর্তি থাকায় চিকিৎসা সেবা দিতে ডাক্তার-নার্সদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।’
পরিস্থিতি সামাল দিতে খুলনায় এক সপ্তাহের নতুন করে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। আগামী রোববার থেকে এটি কার্যকর হবে। বিধি-নিষেধের মধ্যে রয়েছে, দোকান, বিপণিবিতান, রেস্তোরাঁ সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে বের হতে পারবেন না। ইজিবাইক চলবে অর্ধেক, তাতে অর্ধেকসংখ্যক যাত্রী তোলা যাবে। তবে কাঁচাবাজার ও ওষুধের দোকান বিধি-নিষেধের আওতামুক্ত থাকবে।
গত ৪ জুন থেকে খুলনা নগরের সদর, সোনাডাঙ্গা ও খালিশপুর থানা এবং পাশের রূপসা উপজেলায় এক সপ্তাহের বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়। গত বৃহস্পতিবার সেই বিধি-নিষেধ মেয়াদ শেষ হয়েছে। পাইকগাছা পৌরসভা ও ফুলতলা উপজেলায় এক সপ্তাহের বিধি-নিষেধ চলছে।
Comments