কোম্পানীগঞ্জে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বাদলের ওপর হামলা
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের ওপর হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ শনিবার দুপুরে কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কোম্পানিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় মিজানুর রহমান বাদল ও সরকারি মুজিব কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আমির আহসান আলাল আহত হয়েছেন। হামলার তথ্য পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ বাদল ও আলালকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।’
হামলার পর থেকেই মিজানুর রহমান বাদলের মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে।
সেতুমন্ত্রীর ভাগিনা ও কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র মাহাবুবুর রশিদ মঞ্জু দাবি করেছেন, ‘বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নেতৃত্ব এই হামলার ঘটনা ঘটে। তার অনুসারীরা প্রথমে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের গাড়ি ভাঙচুর করে এরপর হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি চালায়। আলালকে গাড়ি থেকে নামিয়ে পিটিয়ে আহত করে। এই হামলার দায় সেতুমন্ত্রী এড়াতে পাড়েন না। তিনি তার ভাইকে লেলিয়ে দিয়েছেন।’
আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হামলার সুষ্ঠু বিচার না হলে পুরো কোম্পানিগঞ্জ অচল করে দেওয়া হবে বলেও আল্টিমেটাম দেন তিনি।
হামলার অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে কাদের মির্জা ও তার ব্যক্তিগত সহকারীর মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা সাড়া দেননি।
নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলমগীর হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘মিজানুর রহমান বাদল আজ সকালে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। কোম্পানিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে একদল যুবক তার ওপর হামলা চালায়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা আরও দুই জন আহত হয়েছেন। পুলিশ তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অবরোধ করার চেষ্টা করেছিলেন, পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে।’
Comments