কোম্পানীগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বাদলের অনুসারীদের সংঘর্ষ, আহত ১৫
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে চার জন গুলিবিদ্ধসহ মোট ১৫ জন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের টেকের বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফ উদ্দিন আনোয়ার দ্য ডেইলি স্টারকে সংঘর্ষের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানান তিনি।
নোয়াখালী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শামিম কবির দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'চরকাঁকড়া ইউনিয়নের টেকের বাজার এলাকায় হরতালের সমর্থনে সড়ক অবরোধ করে বাদলের লোকজন বিক্ষোভ করার সময় পুলিশ বাঁধা দেয়। এতে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ইট-পাটকেল ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। ইটের আঘাতে বেশ কয়েকজন পুলিশ আহত হয়।'
পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ৩০-৩৫ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে বলে জানান তিনি।
চরকাঁকড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি মেম্বার জামাল উদ্দিনের বরাত দিয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাগ্নে মাহাবুবুর রশিদ মঞ্জু দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, শনিবার সকালে বসুরহাট প্রেসক্লাবের সামনে মিজানুর রহমান বাদলের ওপর কাদের মির্জার অনুসারীদের হামলার প্রতিবাদে উপজেলা আওয়ামী লীগ ৪৮ ঘণ্টার হরতালের ডাক দেয়।
হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচির অংশ হিসেবে উপজেলা চরকাঁকড়া ইউনিয়নের টেকের বাজার এলাকায় স্থানীয় নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে। এতে বসুর হাট-পেশকার হাট রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এ খবর পেয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবরোধ তুলে নেওয়ার আহ্বান জানায়। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে অবরোধকারীদের কথা কাটাকাটি হয়। সে সময় পুলিশ আওয়ামী লীগ নেতা সবুজকে মারধর করলে, নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন।
পরে, দুপুর ১টার দিকে পুলিশ ও অবরোধকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে চার জন গুলিবিদ্ধ হন ও কয়েকজন পুলিশসহ ১৫ জন আহত হন বলে জানান মাহাবুবুর রশিদ মঞ্জু।
আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন-স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুল ইসলাম সবুজ (৫২), যুবলীগ নেতা ফারুক (২৭), ছাত্রলীগ নেতা তরিকুল ইসলাম চয়ন (২২) ও হৃদয় (২৫)। তাদেরকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
Comments