অসদাচরণের জন্য ৩ ম্যাচ নিষিদ্ধ সাকিব
আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে অসদাচরণ করায় মোহামেডান অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে ৩ ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাকে পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।
আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে নাখোশ হয়ে স্টাম্পে লাথি ও স্টাম্প আছাড় মারার ঘটনায় সাকিবের এই নিষেধাজ্ঞা থাকবে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টির জন্য।
শনিবার ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম) চেয়ারম্যান কাজী ইনাম আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারির রিপোর্ট আমরা পেয়েছি। সেখানে সাকিবের বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রথমটি স্টাম্প লাথি দিয়ে ভাঙ্গা। এবং পরে স্টাম্প আছাড় মারা। এতে কোড অব কন্ডাক্টের লেভেল থ্রি ভঙ্গ হওয়ায় তাকে তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ ও ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’ এই শাস্তির ফলে সুপার লিগের ৮ম, নবম ও দশম রাউন্ডে সাকিবকে ছাড়াই নামতে হবে মোহামেডানকে।
ইনাম জানান, দুই আম্পায়ার ইমরান পারভেজ ও মাহফুজুর রহমানের রিপোর্টের ভিত্তিতে ম্যাচ রেফারি মোরশেদুল আলমের কাছে সাকিব দোষ স্বীকার করায় আর শুনানির প্রয়োজন হয়নি।
দুবার সহিংস হওয়ার পর অশোভন ভঙ্গি ও অশ্রাব্য গালিগালাজও করেছিলেন সাকিব। তবে গালাগালাজের রেকর্ড না থাকায় ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি বলে জানান ইনাম।
শুক্রবার আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচে মুশফিকুর রহিমের বিরুদ্ধে জোরালো এলবিডব্লিউ আবেদন করেছিলেন সাকিব। আম্পায়ার দ্রুতই তা নাকচ করে দিলে আরও দ্রুততার সঙ্গে লাথি মেরে স্টাম্প ভেঙ্গে দেন সাকিব। নজিরবিহীন এই কাণ্ডের পরও থামেনি তার উগ্রতা।
৫.৫ ওভার পর বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে আবার খেপে যান তিনি। এবার আম্পায়ারের কাছে এসে স্টাম্প উপড়ে আছাড় মারেন। অশ্রাব্য গালিগালাজ করেন। মাঠ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর আবাহনীর ড্রেসিংরুমের দিকে অশ্লীল ভঙ্গিও করেন। এসময় খালেদ মাহমুদ সুজনের সঙ্গে বিবাদে জড়াতে দেখা যায় তাকে।
অথচ বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার সময় ডি/এল মেথডের হিসেবে এগিয়ে ছিল মোহামেডানই। তখন আর খেলা না হলেও বৃষ্টি আইনি মোহামেডান ১৬ রানে জিতত।
এমন উগ্র আচরণ করে ম্যাচ শেষে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে ক্ষমা চান এই তারকা। আবাহনীর ড্রেসিং রুমে গিয়েও তাকে ক্ষমা চাইতে দেখা গেছে।
Comments