মাদারীপুরে আ. লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, ৩ পুলিশসহ আহত ১৫

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খান এবং মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে তিন পুলিশসহ আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।
সংঘর্ষে দুটি ব্যাংক, অন্তত ১০টি মোটরসাইকেল, বেশ কয়েকটি দোকানপাট ও বসতঘর ভাঙচুর করা হয়। ছবি: স্টার

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খান এবং মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে তিন পুলিশসহ আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।

আজ শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের সদর উপজেলার কলাবাড়ি ও ঘটকচর এলাকায় দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে দুটি ব্যাংক, অন্তত ১০টি মোটরসাইকেল, বেশ কয়েকটি দোকানপাট ও বসতঘর ভাঙচুর করা হয়। মহাসড়কের পাশে সংঘর্ষ হওয়ায় প্রায় আধা ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম মিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘দুই পক্ষকে আমরা একত্রিত হতে দিইনি। ফলে মারামারি হয়নি। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও, কিছু লোক দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ইটপাটকেল ছুঁড়ে ভাঙচুর করে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তিনি জানান, এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদেরকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় আজ সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত কোনো পক্ষ মামলা করেনি বলে জানান ওসি।

সূত্র জানায়, সম্প্রতি রাজৈর উপজেলার এক অনুষ্ঠানে শাজাহান খান ও তার বাবা আছমত আলী খানকে নিয়ে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা। এর প্রতিবাদে গত এক সপ্তাহ ধরে শাজাহান খানের সমর্থক ও নেতাকর্মীরা জেলা সদর ও রাজৈর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ করে আসছিলেন।

আহত তিন পুলিশ সদস্য। ছবি: স্টার

অন্যদিকে, শাজাহান খান ও তার সমর্থকদের কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে সভা-সেমিনার করে আসছিল জেলা আওয়ামী লীগ।

আজ সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লার পদত্যাগ ও বিচারের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের কলাবাড়ি এলাকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভের আয়োজন করে শাজাহান খান সমর্থিত কর্মীরা। একইসময় ওই স্থানে শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লার সমর্থকরা প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। এতে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে পুলিশের উপস্থিতিতেই তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে দুই পক্ষ দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় তিন পুলিশসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন।

এ বিষয়ে শাজাহান খান ও শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লার সঙ্গে কয়েক দফায় যোগাযোগের চেষ্টা করলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

Comments

The Daily Star  | English

ICT to begin trial for July-August 'massacre' on Thursday

ICT Chief Prosecutor says the trial of individuals involved in crimes against humanity during the uprising would be prioritised

20m ago