বিস্ফোরক ইনিংসে আবাহনীর হিরো মুনিম

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে রোববার হাই ভোল্টেজ ম্যাচে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ডি/এল মেথডে ৩০ রানে হারিয়েছে আবাহনী।
Munim Shahriar
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

এবারের লিগে আগেও ঝড় ব্যাট করে নিজেকে আলাদা করে চিনিয়েছিলেন মুনিম শাহরিয়ার। তবে সেসব ইনিংস ছিল ছোট। ঘরোয়া ক্রিকেটের এই নতুন মুখ এবার পেলেন বড় ইনিংস। ওপেন করতে নেমে ৫০ বলে ৯২ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ জেতানোর নায়কও বনেছেন তিনি।

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে রোববার হাই ভোল্টেজ ম্যাচে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ডি/এল মেথডে ৩০ রানে হারিয়েছে আবাহনী।

আগে ব্যাট করে মুনিমের ব্যাটে ৩ উইকেটে ১৮৩ রান করে আবাহনী। রান তাড়ায় নেমে প্রাইম ব্যাংক ৪ উইকেটে ১১৭ রান করার পর নামে বৃষ্টি। আধঘণ্টা খেলা বন্ধ থাকার পর বৃষ্টি আইনে ১৯ ওভারে তাদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৭৪ রান।

অর্থাৎ ম্যাচ জিততে ৩ ওভারে করতে হতো ৫৭ রান। তারা করতে পারে ২৭ রান। এই জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে আবার দুইয়ে উঠে এসেছে মুশফিকুর রহিমের দল।

১৮৪ রানের বড় লক্ষ্য তাড়ায় রনি তালুকদারকে শুরুতেই হারিয়েছিল প্রাইম। এরপর এনামুল হক বিজয়কে একপাশে রেখে রান বাড়াতে থাকেন তামিম ইকবাল। দুজনের ৫৩ রানের জুটির মাত্র ১১ আসে বিজয়ের ব্যাটে। আগ্রাসী খেলতে থাকা তামিমই আশা বাড়াচ্ছিলেন তার দলের।

৪২ রানে অবশ্য তামিমের সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। পরে বল করতে এসে বিজয়কে ফিরিয়ে নেন তিনি। ফিফটি পেরিয়ে যাওয়ার পর থামে তামিমের দৌড়। আরাফাত সানিকে উড়াতে গিয়ে লং অনে ধরা পড়েন ৪১ বলে ৫৫ করা তামিম।

খানিক পর অমিত মজুমদারকেও তুলে নেন বিপ্লব। রানও মন্থর হয়ে পড়ে প্রাইমের। ওই চাপ আর পরে সামলাতে পারেননি তামিমদের দল।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু পায় আবাহনী। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও মুনিম আনেন ৪৯ রান। পাওয়ার প্লের পরই ২৭ বলে ২৯ করা নাঈম বোল্ড হয়ে যান শরিফুল ইসলামের বলে।

এরপর নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়েও গড়ে উঠে মুনিমের ভাল আরেক জুটি। ৪৬ রানের জুটির পর ২১ বলে ৩০ করা শান্ত অলক কাপালিকে মারতে গিয়ে ধরা দেন লং অনে। অধিনায়ক মুশফিক নেমে খুব প্রভাব ফেলতে পারেননি। ১৬ বলে ১৪ করা মুশফিককেও আউট করেন শরিফুল।

তখন একাই আবাহনীর রানের চাকা চালু রাখেন মুনিম। তাকে অবশ্য ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিল প্রাইম ব্যাংক। ২০ রানে থাকা মুনিমকে স্টাম্পিংয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন বিজয়। কিন্তু বল হাতে রাখতে পারেননি ঠিকভাবে। পরে সামলে নিয়ে স্টাম্প ভাঙ্গলেও মুনিম বেঁচে যান বেনিফিট অব ডাউটে।

৪৩ রানে বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ দিয়েছিলেন মুনিম। অলকের বলে সহজ সেই ক্যাচ ধরতে পারেননি নাঈম হাসান। উলটো ছক্কা হয়ে যায়।

আফিফ হোসেনকে নিয়ে ইনিংসের বাকিটা খেলেছেন মুনিম। ৫০ বলের ইনিংসে এই ডানহাতি ৯ চারের সঙ্গে মারেন ৫ ছক্কা।

 

 

 

 

Comments

The Daily Star  | English

Keep up efforts to build a ‘dignified, unique’ Bangladesh

Yunus urges students; tells them to utilise the unique opportunity to build the nation

40m ago