মাহমুদউল্লাহর ম্যাচ জেতানো ফিফটি

বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টির ম্যাচে ১৩৮ রান করেছিল খেলাঘর। শূন্য রানে ২ উইকেট হারানোর পরও ৯ বল আগে ৫ উইকেটে জিতেছে গাজী।
Mominul Haque & Mahmudullah
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

মাসুম খানের ফিফটিতে লড়াইয়ের পুঁজি পেয়েছিল খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি। রান তাড়ায় শুরুতে চরম বিপাকে পড়া গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স উদ্ধার হয়েছে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটে।

বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টির ম্যাচে ১৩৮ রান করেছিল খেলাঘর। শূন্য রানে ২ উইকেট হারানোর পরও ৯ বল আগে ৫ উইকেটে জিতেছে গাজী।

এই জয়ের পরও ১০ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে ছয়ে অবস্থান গাজীর।

১৪৪ রান তাড়ায় নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই শেখ মেহেদী হাসানকে হারায় গাজী। রনি চৌধুরীর বলে বোল্ড হয়ে যান এই ওপেনার। ওই ওভার থেকেও আসেনি কোন রান। পরের ওভারে দ্বিতীয় বলে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সৌম্য সরকার। ০ রানেই তাই দুই ওপেনার হারিয়ে ফেলে মাহমুদউল্লাহর দল।

এরপর মুমিনুল হক-ইয়াসির আলি রাব্বি মিলে গড়েন প্রতিরোধ। ইয়াসির ছিলেন ইতিবাচক মানসিকতায়। দ্রুত রান আনছিলেন তিনি। ৩৭ রানের জুটিতে ২৪ রানই আসে ইয়াসিরের ব্যাটে। ১৫ বলে ১ চার, ২ ছক্কার ইনিংস থামে মিরাজের বলে।

মুমিনুল হকও বেশিক্ষণ টেকেননি। ২০ বলে ২২ করে খালেদ আহমেদের শিকার হন মুমিনুল।

৫৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে থাকা গাজী ঘুরে দাঁড়ায় মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে। আকবর আলিকে নিয়ে খেলা সহজ করে দেন অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার। আকবর ১৪ বলে ১৮ করে রান আউট হলে ভাঙ্গে  ৪১ রানের জুটি।

সাতে নেমে আরিফুল হক ১০ বলে ১৭ করে রান করলে রানরেটের চাপ কমে যায়। ফিফটি তুলে নিয়ে মাহমুদউল্লাহ  সকল ঝুঁকি থেকে মুক্ত করেন দলকে। ৩ চার, ২ ছক্কায় ৪৮ বলে ৫৮ করে অপরাজিত থাকেন গাজীর অধিনায়ক।

বিকেএসপির চার নম্বর দিনের আরেক ম্যাচে বৃষ্টি আইনে ১ রানে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে হারিয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। আগে ব্যাট করে ৩ উইকেটে ১৫০ রান করেছিল শাইনপুকুর। জবাবে অধিনায়ক মিজানুর রহমানের ৫৬ বলে ৭৯ রানে ১৮ ওভারে ব্রাদার্স ৪ উইকেটে ১৩২ রান করলে নামে বৃষ্টি। আর খেলা না হওয়ায় ডি/এল মেথডে ১ রানে এগিয়ে থেকে জয়ী হয় ব্রাদার্স।

 

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago