রোমাঞ্চে কাঁপছিলেন ডাচ ফুটবলাররা

ছবি: টুইটার

টান টান উত্তেজনার ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল ইউক্রেন। মনে হচ্ছিল পুরো পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়া হবে না ফেভারিট ডাচদের। ডেনজেল ডামফ্রিসের শেষ সময়ের গোলে সেই জায়গা থেকে পাওয়া জয়কে একটা আবেগীয় ভ্রমণ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন মিডফিল্ডার ডি ইয়ং।

রোববার রাতে আমস্টারডামের  ইউহান ক্রুইফ অ্যারেনায় 'সি' গ্রুপের ম্যাচে ইউক্রেনকে ৩-২ গোলে হারিয়ে রোমাঞ্চকর জয়ে ইউরোর যাত্রা শুরু করে নেদারল্যান্ডস। ম্যাচের সবগুলো গোলই এসেছে দ্বিতীয়ার্ধে।

ডাচদের হয়ে ৫২ মিনিটে প্রথম গোল করেন জর্জিনিয়ো ভিনালদাম, ৫৮ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান ভট ভেহর্স্ট। ৭৫ ও ৭৯ মিনিটে আন্দ্রে ইয়ারমেলেনকো আর রোমান ইয়ারেমচুকের গোলে সমতা আনে ইউক্রেন। ৮৫ মিনিটে জয়সূচক গোল করেন ডামফ্রিস।

দুই গোলে পিছিয়ে থাকার পর দুটি গোলই শোধ করে দিয়ে চোখ ধাঁধানোভাবে খেলায় ফিরে তারা। ৮৫ মিনিট পর্যন্ত দুই দলের ছিল ২-২ সমতা। উপভোগ্য ম্যাচটা সমতায় থামার সম্ভাবনা তখন ছিল বেশি। মূল সময় শেষের ৫ মিনিট আগে বাজিমাত করেন  ডামফ্রিস। হেড থেকে গোল করে দলকে পাইয়ে দেন দারুণ এক জয়।

ম্যাচ শেষে আইটিভিকে ডি ইয়ং নিজের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে হয়ে যান বাঁধনহারা, ‘এটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। নেদারল্যান্ডসকে জিততে দেখা অসাধারণ ব্যাপার। এটা ছিল চূড়ান্ত আবেগীয় এক যাত্রা।’

পাঁচ গোলের ম্যাচের সবগুলোই এসেছে বিরতির পর। ডি ইয়ং মনে করিয়ে দেন বিরতির আগেও অনেকগুলো সুযোগ এসেছিল তাদের, ‘ডামফ্রিস প্রথমার্ধে অনেকগুলো সুযোগ হাতছাড়া করেছে, বিরতির আগেই সে এমনকি হ্যাটট্রিক করে ফেলতে পারত। কিন্তু শেষ দিকে গিয়ে অবশ্য ম্যাচ জেতানো গোলটা করতে পেরেছে।’

ইউক্রেন সমতায় ফেরার পরের সময়টা ছিল ভীষণ স্নায়ুচাপের। এমনকি বড় শিরোনামও চোখে ভাসছিল তাদের,  ‘কোচ ফ্র্যাঙ্ক ডি বোয়ের জন্য খুবই স্নায়ুচাপের ছিল। আমি তো একটা শিরোনাম দেখছিলাম। যাইহোক তিন পয়েন্ট পেয়েছি। যেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’

 

Comments

The Daily Star  | English

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

4h ago