লকডাউনের দশম দিন

সাতক্ষীরায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ৪৭.৩১ শতাংশ

লকডাউনের দশম দিনে সাতক্ষীরায় ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্তের হার কিছুটা কমে ৪৭ দশমিক ৩১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় এই হার ছিল জেলার সর্বোচ্চ ৬৪ দশমিক ১৯ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় সাতক্ষীরায় করোনা উপসর্গ নিয়ে তিন জন মারা গেছেন। এ নিয়ে জেলায় এ পর্যন্ত করোনা উপসর্গ নিয়ে ২৫০ জন ও করোনা শনাক্ত হওয়া ৫৩ জন মারা গেছেন।

সরেজমিনে গতকাল সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত সাতক্ষীরা শহর ঘুরে দেখা যায়, চলাচল বন্ধ করতে প্রায় প্রতিটি সড়কে ব্যারিকেড দিয়েছে পুলিশ। এরপরেও নানা অজুহাতে মানুষ চলাচল করছেন।

সাতক্ষীরা শহরের বড় বাজার ও মিল বাজারে মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। আবার অনেকেই মাস্ক না পড়েই যাচ্ছেন বাজারে।

সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসা কর্মকর্তা জয়ন্ত সরকার বলেন, ‘রোববার সকাল ৮টা থেকে সোমবার ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪৪ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৪৭ দশমিক ৩১ শতাংশ। এর আগের দিন ৮১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫২ জনের করোনা শনাক্ত হয়।’

সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন সাফায়াত বলেন, ‘জেলায় এ পর্যন্ত ১০ হাজার ৬৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে দুই হাজার ৪২০ জনের। সাতক্ষীরার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সদর হাসপাতালে ৫৪ জন এবং নিজ নিজ বাড়িতে ৬৯৮ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে তিন জন মারা গেছেন। সব মিলিয়ে উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ২৫০ জন ও শনাক্ত হওয়া রোগীদের মধ্যে মারা গেছেন ৫৩ জন।’

সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘মানুষ সচেতন হচ্ছেন না। নানাভাবে ব্যারিকেড দিয়ে, প্রচার চালিয়েও মানুষের ঘর থেকে বের হওয়া বন্ধ করা যাচ্ছে না। প্রতিটি উপজেলা সদরসহ জেলা সদরে পুলিশ লকডাউন বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে।’

সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এস. এম. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘লকডাউন না মেনে বাইরে ঘোরাঘুরি বন্ধ করার জন্য ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।’

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago