বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে আবার আবাহনীর নায়ক তরুণ মুনিম

মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার দুপুরের ম্যাচ ডি/এল মেথডে আবাহনী জিতেছে ৪৯ রানের বড় ব্যবধানে
Munim Shahriar
৪০ বলে ৭৪ রানের ইনিংস খেলেন মুনিম শাহরিয়ার। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

আগের ম্যাচে যেখানে থেমেছিলেন সেখান থেকেই যেন শুরু। তারকা ক্রিকেটারদের ছাপিয়ে আবার নিজেকে আলোয় আনলেন তরুণ মুনিম শাহরিয়ার। তার বিস্ফোরক ইনিংসের সঙ্গে উত্তাল হলো নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটও। আবাহনীর বিশাল পুঁজির জবাবে পরে বৃষ্টি আইনে পাওয়া কঠিন লক্ষ্যে হাবুডুবু খেল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব।

মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার দুপুরের ম্যাচ ডি/এল মেথডে আবাহনী জিতেছে  ৪৯ রানের বড় ব্যবধানে। আগে ব্যাট করে আবাহনী ১৮.২ ওভারে ৪ উইকেটে ১৮১ রান করার পর নামে বৃষ্টি। এরপর খেলা শুরু হলে শেখ জামালের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৩ ওভারে ১৪৭। তারা করতে পারে ৮ উইকেটে ৯৮ রান।

দলের জয়ে মাত্র ৪০ বলে ৭৪ করেন মুমিন। শান্তর ব্যাট থেকে আসে ৪২ বলে ৬৫ রান।

এই জয়ের পরও  ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টির পয়েন্টে টেবিলে শীর্ষে আসতে পারেনি আবাহনী। প্রাইম ব্যাংকের সমান ১৪ পয়েন্ট হলেও রানরেটে সামান্য পিছিয়ে আছে মুশফিকুর রহিমরা।

বৃষ্টিবিঘ্নিত একপেশে ম্যাচের বড় আলোই ছিল মুনিমের ব্যাটে। টি-টোয়েন্টির মেজাজ, পরিস্থিতির দাবি আর পরিণত মস্তিষ্কে ব্যাট করতে দেখা গেল এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানকে।  

টস জিতে ব্যাট করতে গিয়ে নাঈম শেখকে এক পাশে রেখেই শুরু হয় মুনিমের আগ্রাসী পথচলা। এক ছক্কার পরও ১১ বলে ১০ করে নাঈম ফেরেন নাসির হোসেনের বলে।

এরপর শেখ জামাল ধানমন্ডির বোলারদের তুলোধুনো করতে থাকেন মুনিম। সঙ্গে পেয়ে যান সেরা ছন্দের  শান্তকেও। দুজনের মধ্যে গড়ে উঠে বড় জুটি।

৫৩ বলেই তারা আনেন ৮৮ রান। বেশি আগ্রাসী ছিলেন মুনিম। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান উইকেটের সবদিকেই শট খেলায় ছিলেন পারদর্শী। পুল, ফ্লিকের সাবলীলতার সঙ্গে এক্সট্রা কাভার দিয়েও মেরেছেন দেখার মতো শট। রান বাড়াতে স্কুপের চেষ্টাও করতে দেখা গেছে তাকে। থার্ড ম্যান উপরে দেখে বুদ্ধি করে বাউন্ডারি বের করার মুন্সিয়ানাও দেখিয়েছেন।

৪০ বলের ইনিংসে ৯ চারের সঙ্গে ৩ ছক্কা মেরেছেন তিনি। টানা দুই ম্যাচে ২৪ বছরের তরুণের কাছ থেকে এলো ১৮৫ স্ট্রাইকরেটে রান। আগের ম্যাচে ২০ ওভার খেলে অপরাজিত ছিলেন ৯২ রানে। সেঞ্চুরির সুযোগ ছিল এবারও। দ্বাদশ ওভারে জিয়াউর রহমানকে পুল করে উড়াতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে থামেন তার ঝড়।

এরপর অধিনায়ক মুশফিক ২ বল খেলে কোন রান না করেই ক্যাচ দেন ইবাদত হোসেনের বলে। পাঁচে নামা মোসাদ্দেক হোসেন ১৫ বলেই করে যান ২৬। তার আউটের পর পরই নামে বৃষ্টি।

বৃষ্টির পর ডি/এল মেথডে পাওয়া লক্ষ্যে ওভারপ্রতি ১১ রানের বেশি করে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ আসে শেখ জামালের। তাতে শুরুতেই বিপদে পড়ে যায় তারা। ওপেনার সৈকত আলি ১, ইমরুল কায়েস ৮ রান করে বিদায় নেন।

তিনে নেমে জিয়াউর রহমান ৪ বলে ১১ করে আউট হন। অধিনায়ক নুরুল হাসানের ব্যাট থেকে আসে ১১ বলে ২২ রান। শেষ দিকে মোহাম্মদ এনামুল ২৩ বলে ২৯ করে কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছেন।

Comments

The Daily Star  | English
government changed office hours

Govt office hours 9am-3pm from Sunday to Tuesday

The government offices will be open from 9:00am to 3:00pm for the next three days -- from Sunday to Tuesday -- this week, Public Administration Minister Farhad Hossain said today

32m ago