মিয়ানমারে সু চির বিচার শুরু

অং সান সু চি। ফাইল ফটো রয়টার্স

মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চির বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গত বছর নির্বাচনে জয়লাভ করে ক্ষমতায় যাওয়ার চার মাসের মাথায় এক সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তার নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়।

অনিবন্ধিত ওয়াকিটকি ব্যবহার এবং কোভিড-১৯ বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের অভিযোগে সোমবার থেকে সু চিকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।

সু চিকে আটকের পর তার বিরুদ্ধে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ভাঙা ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে।

তবে, বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা এই বিচারের নিন্দা জানিয়ে বলছে, সু চি যাতে পরবর্তী নির্বাচনগুলোতে অংশ নিতে না পারে সে জন্য তাকে আটক করা হয়েছে।

গত ১ ফেব্রুয়ারির সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে ৭৫ বছর বয়সী মিয়ানমারের এই নেত্রীকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। এই সময়ে কোর্টে হাজির হওয়া ছাড়া তাকে দেখা যায়নি।

সু চি গৃহবন্দি হওয়ার পর তার আইনজীবী শুধু দুবার তার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়েছেন।

এছাড়া আগামী ১৫ জুন থেকে রাষ্ট্রদ্রোহের অন্য একটি মামলায় সু চির বিরুদ্ধে বিচার শুরু হবে। এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে সু চিকে ১৪ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হতে পারে। 

গত সপ্তাহে তার বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দেওয়া হয়েছে, সেই মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি ছয় লাখ ডলার নগদ অর্থ ও ১১ কেজি স্বর্ণ ঘুষ নিয়েছেন।

সু চির আইনজীবী খিন মাং জাও গত সপ্তাহে সংবাদমাধ্যম এএফপিকে বলেছেন, ‘দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট থেকে তাকে দূরে রেখে মর্যাদা ক্ষুণ্ন করার পেছনে একটি অনস্বীকার্য পটভূমি রয়েছে।’

আরও পড়ুন-

সু চির বিরুদ্ধে মিয়ানমার পুলিশের মামলা

Comments

The Daily Star  | English

Khaleda urges unity, quick action to institutionalise democracy

She also demanded a comprehensive list of victims of abduction, murder, and extrajudicial killings

15m ago