পেনাল্টি ম্যাচের গতিপথ পাল্টে দিয়েছে, বললেন মেসি
প্রথমার্ধে একের পর এক সুযোগ পেয়েও হাতছাড়া করে আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসি চোখ ধাঁধানো ফ্রি-কিকে জাল খুঁজে নিলেও হতাশ করেন লাউতারো মার্তিনেজ, নিকোলাস গঞ্জালেজরা। উল্টো দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে গোল হজম করে আলবিসেলেস্তেরা। আর্তুরো ভিদালের স্পট-কিক গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ ফিরিয়ে দিলেও আলগা বল পেয়ে লক্ষ্যভেদ করেন এদুয়ার্দো ভারগাস। ওই পেনাল্টি আর্জেন্টিনার জন্য ম্যাচটা জটিল করে দিয়েছে বলে মনে করছেন অধিনায়ক মেসি।
মঙ্গলবার ভোরে কোপা আমেরিকার ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে এগিয়ে গিয়েও চিলিকে হারাতে পারেনি লিওনেল স্কালোনির দল। রিও দি জেনেইরোর নিলতন সান্তোস স্টেডিয়ামে খেলা শেষ হয় ১-১ সমতায়। ম্যাচে প্রতিপক্ষের গোলমুখে ১৮টি শট নিয়ে পাঁচটি লক্ষ্যে রাখে আর্জেন্টিনা। কিন্তু তারা নিশানা ভেদ করতে পারে মাত্র একবার। শুধু তা-ই নয়, বিরতির আগে তারা যে ছন্দ দেখিয়েছিল, তা ধরে রাখতে পারেনি দ্বিতীয়ার্ধে।
ম্যাচের পর মেসি বলেছেন, ৫৭তম মিনিটের ওই পেনাল্টি পাল্টে দিয়েছে ম্যাচের চিত্র, ‘আমি মনে করি, পেনাল্টি কিকে যখন তারা (চিলি) সমতায় ফেরে, সেটা তাদের মনে শান্তি ছড়িয়ে দেয়। তখন তারা বল পায়ে রাখতে শুরু করেছিল, আমরা তা কেড়ে নিতে পারিনি এবং ম্যাচটা আমাদের জন্য জটিল হয়ে গেছে।’
রেকর্ড ছয়বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকা নিজেদের দোষ-ত্রুটিও আড়াল করছেন না, ‘যখন আমরা এগিয়ে ছিলাম, আমরা সেই ফলটি (স্কোরলাইন) ধরে রাখতে পারিনি। মাঠ আসলেই খুব বেশি সাহায্য করেনি। বলের নিয়ন্ত্রণ রাখা এবং গতিময় খেলার ক্ষেত্রেও ঘাটতি ছিল আমাদের। যে কারণে ড্র হয়েছে।’
আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ার কথা জানিয়েছেন মেসি, ‘আমরা জয় দিয়ে শুরু করতে চেয়েছিলাম। জয় পাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমরা কঠিন এক প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলেছি এবং সামনে আমাদের আরেকটি কঠিন ও সমমানের ম্যাচ খেলতে হবে উরুগুয়ের বিপক্ষে।’
বিবর্ণ অবস্থা সামলে ঘুরে দাঁড়িয়ে উরুগুয়ের বিপক্ষে জয় চাইছেন ৩৩ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড, ‘খুবই কঠিন দুটি ম্যাচ দিয়ে আমাদের আসর শুরু করতে হচ্ছে এবং এ কারণে আমরা জয় দিয়ে শুরু চেয়েছিলাম। কিন্তু পারিনি। উরুগুয়ের বিপক্ষে আমাদের অবশ্যই জিততে হবে।’
আগামী শনিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় ব্রাসিলিয়ার মানে গারিঞ্চা স্টেডিয়ামে উরুগুয়ের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। পরের দুই ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ যথাক্রমে প্যারাগুয়ে ও বলিভিয়া।
Comments