আত্মঘাতী গোলে ফ্রান্সের কাছে হারল জার্মানি
বলের দখলে এগিয়ে। এগিয়ে পাস সংখ্যাতেও। লক্ষ্যে শট দ্বিগুণেরও বেশি। কিন্তু তারপরও ফ্রান্সের কাছে হারতে হলো জার্মানিকে। ম্যাট হামেলসের আত্মঘাতী গোলই ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিল। তাতে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে শুভ সূচনা করল বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। আর প্রথমাবেরের মতো ইউরোর প্রথম ম্যাচে হারের স্বাদ পেল জার্মানরা।
অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় মঙ্গলবার রাতে জার্মানিকে ১-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে ফ্রান্স।
সব দিক থেকে এগিয়ে থাকলেও গোল করার মতো সহজ সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেনি জার্মানি। অন্যদিকে সুযোগ কম তৈরি করলেও প্রতিপক্ষ শিবিরে ভীতি ছড়াতে সক্ষম হয় ফরাসিরা। দুইবার বলও জালে জড়িয়েছিল তারা। কিন্তু অফসাইডের কারণে বাতিল হয় সে গোল। তাতে ব্যবধান না বাড়লেও জয় ঠিকই মিলে ফরাসিদের।
সবশেষ ২০১৪ সালে বিশ্বকাপে ফ্রান্সকে হারিয়েছিল জার্মানি। সেবার এই হামেলসের গোলেই জিতেছিল দলটি। এরপর আর তাদের হারাতে পারেনি তারা। পরের ছয় ম্যাচে চারটিতে জিতল ফ্রান্স। দুটি ড্র। দুই দলের সবশেষ লড়াইতেও জিতেছিল তারা। ২০১৮ সালে উয়েফা নেশন্স লিগের সে ম্যাচে ২-১ গোলে জিতেছিল দলটি।
এদিন গোল করার প্রথম সুযোগটা ১৭তম মিনিটে পায় ফ্রান্স। আতোঁয়ান গ্রিজমানের পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দারুণ এক কোণাকোণি শট নিয়েছিলেন কিলিয়ান এমবাপে। তবে ঝাঁপিয়ে তা ঠেকিয়ে দেন জার্মান গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়ার। তবে তিন মিনিট পরই গোল হজম করে বসে দলটি। লুকাস হার্নান্দেজের শট ঠেকাতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে ফেলেন হামেলস।
তবে দুই মিনিট পরই সমতায় ফিরতে পারতো জার্মানরা। রবিন গোসেনের ক্রস থেকে ফাঁকায় হেড নেওয়ার সুযোগ ছিল থমাস মুলারের। তবে বলে ঠিকমতো মাথা ছোঁয়াতে পারেননি। ৩৮তম মিনিটে প্রথমার্ধের সেরা সুযোগটি হাতছাড়া করেন ইকাই গুন্দোগান। সার্জ নাব্রির ব্যাকভলি থেকে ফাঁকায় বল পেয়েছিলেন এ ম্যানচেস্টার সিটি তারকা। কিন্তু ঠিকভাবে ভলি নিতে না পারায় নষ্ট হয় সে সুযোগ।
৫১তম ব্যবধান বাড়ানোর সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন আদ্রিয়ান বাবিউত। এমবাপের নিখুঁত থ্রু পাসে ফাঁকায় বল পেয়ে যান তিনি। শট মারার জন্য যথেষ্ট সময়ও পান। নিশ্চিত গোল পেতে চাইলে একেবারে ফাঁকায় থাকা গ্রিজমানকেও দিতে পারতেন। কিন্তু শট নেন বারপোস্টে। এর তিন মিনিট পর সমতায় ফেরার দারুণ সুযোগ নষ্ট করে জার্মানিও। গোসেনের ক্রস থেকে নাব্রির নেওয়া ভলি অল্পের জন্য বারপোস্টের উপর দিয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে হতাশা বাড়ে দলটির।
৬৬তম মিনিটে নিখুঁত এক ফিনিশিংয়ে বল জালে জড়িয়েছিলেন এমবাপে। তবে অফসাইডের কারণে বাতিল হয় সে গোল। ৮৫তম মিনিটে আবারও জার্মানির জালে বল জড়িয়েছিল ফরাসিরা। এবার অবশ্য লক্ষ্যভেদ করেছিল করিম বেনজেমা। তবে এমবাপে এবারও অফসাইডে থাকায় বাতিল হয় বেনজেমার গোল।
শেষ দিকে অবশ্য সমতায় ফিরতে বেশ চাপ সৃষ্টি করেছিল জার্মানি। তবে জমাট রক্ষণে তাদের সব প্রচেষ্টাই নষ্ট করে দেয় ফরাসি ডিফেন্ডাররা। স্বস্তির জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে সফরকারী দলটি।
Comments