করোনাভাইরাস

সাতক্ষীরায় শনাক্ত বেড়ে ৫৩.১৯ শতাংশ, উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু ৪

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সীমান্তবর্তী জেলা সাতক্ষীরায় গত ৫ জুন থেকে লকডাউন শুরু হয়। কিন্তু, লকডাউনের ১২তম দিনে এসেও সংক্রমণ কমেনি। সর্বশেষ আজ বুধবার এ জেলায় সংক্রমণের হার বেড়ে ৫৩ দশমিক ১৯ শতাংশে পৌঁছেছে।

এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে চার জনের। তার আগের ২৪ ঘণ্টায় সাতক্ষীরায় সংক্রমণের হার ছিল ৪৯ শতাংশ।

জেলার সিভিল সার্জন সাফায়াত হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, সাতক্ষীরায় করোনা আক্রান্ত  রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। সংক্রমণ কমাতে লকডাউন কঠোরভাবে মেনে চলা ছাড়া উপায় নেই।  কিন্তু, এ ব্যাপারে মানুষ একেবারেই সচেতন হচ্ছে না।

আজ সকালে সাতক্ষীরা শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মোড়ে মোড়ে ব্যারিকেড ও পুলিশ প্রহরা থাকা সত্ত্বেও ইজিবাইক, মোটরসাইকেল, মহেন্দ্র (তিন চাকার যন্ত্রচালিত যান) ও ইঞ্জিনচালিত ভ্যান চলাচল করছে। বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়ছেন চালকরা।

শহরের সুলতানপুর বড়বাজার এলাকাটি ছিল লোকে লোকারণ্য। সেখানে কারো মধ্যে সামাজিক দূরত্ব মানার বালাই ছিল না। অনেকের মুখে মাস্কও দেখা যায়নি।

তবে, যশোর ও খুলনা থেকে সাতক্ষীরায় ঢোকার পথগুলো ছিল বন্ধ। এসব পথে কোনো ব্যক্তি কিংবা যানবাহন শহরে ঢুকতে দিচ্ছিল না পুলিশ।

সাতক্ষীরা জেলা সিভিল সার্জন দপ্তরের চিকিৎসা কর্মকর্তা জয়ন্ত সরকার জানান, মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে বুধবার সকাল আটটা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১০০ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ১৮৬ জনের  মধ্যে ৯১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।

সিভিল সার্জন সাফায়াত হোসেন বলেন, ‘সাতক্ষীরায় এ পর্যন্ত ১০ হাজার ৮৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫১১ জনের নমুনা পজিটিভ এসেছে। এই মুহূর্তে সাতক্ষীরার দুটি হাসপাতালে মোট ৩৮ জন করোনা রোগী ভর্তি আছেন। বাকিরা বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।’

Comments

The Daily Star  | English

Familiar Dhaka in an unfamiliar mood

The familiar city now appears in an unfamiliar form—no traffic jams, no honking, no packed footpaths

2h ago