মুশফিকের আবাহনীকে গুঁড়িয়ে কামরুলের ৪ উইকেট
![Kamrul Islam Rabbi Kamrul Islam Rabbi](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/_f751124.jpg?itok=96plI5ZJ×tamp=1623841169)
বৃষ্টি ভেজা দিনের মন্থর উইকেটে সাইফ হাসানের ফিফটিতে লড়াইয়ের পুঁজি পেয়েছিল প্রাইম দোলেশ্বর। সেই পুঁজি নিয়েই তারা রীতিমতো দুর্বার হয়ে গেল। আবাহনীকে গুঁড়িয়ে ৪ উইকেট নিলেন কামরুল ইসলাম রাব্বি।
বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দোলেশ্বরের কাছে ২৮ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে মুশফিকের দল। আগে ব্যাট করে দোলেশ্বরের করা ১৩২ রানের জবাবে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা করতে পেরেছে ১০৪ রান।
এবারের লিগে এই নিয়ে আবাহনীর এটি তৃতীয় হার। এই জয়ে আবাহনীকে হটিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠে এল দোলেশ্বর।
দলের জয়ে উজ্জ্বল পেসার কামরুল ১১ রানেই নিয়েছেন ৪ উইকেট।
১৩৩ রান তাড়ায় ভালো শুরু পায়নি আবাহনী। আগের দুই ম্যাচের হিরো মুনিম শাহরিয়ার এদিন পারেননি। বাউন্ডারি আনতে চেষ্টা চালিয়ে না পেরে তিনি ফেরেন ১১ বলে ৮ রান করে।
আরেক ওপেনার নাঈম শেখ রান পেলেও ছিলেন একদমই মন্থর। একের পর এক ডটবলে শুরুতে চাপ বাড়িয়েছেন এই বাঁহাতি। টি-টোয়েন্টির কোন মেজাজ দেখা যায়নি তার ব্যাটে।
নাঈমের ব্যাটে বেড়ে যাওয়ার চাপ সরাতে গিয়ে টপাটপ উইকেট খুইয়ে ডুবে যায় শিরোপা প্রত্যাশীরা।
অফ স্পিনার শরিফুল্লাহর বলে ১২ বলে ৮ করে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। মুশফিক নেমেই ফিরেছেন। মাত্র ৫ বলে ৪ রান করে শামীম পাটোয়ারির বলে পয়েন্ট দেন ক্যাচ।
অনিয়মিত স্পিনার সাইফ হাসানের বলে কাটা পড়েন নাঈম। ৩১ বল খুইয়ে ২২ রান করে থামেন এই বাঁহাতি। ১৪ বলে ১৪ করা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে ফিরিয়ে উইকেট নেওয়া শুরু কামরুলের।
ছয়ে নেমে খেলা ঘুরানোর চেষ্টায় ছিলেন আফিফ হোসেন। একমাত্র তাকেই পাওয়া গেছে রান তাড়ার আদর্শ মেজাজে। মাত্র ১৫ বলে ৩ চার, ১ ছক্কায় আফিফের ২৬ রানের ইনিংস থামে এনামুল হক জুনিয়রের বলে।
এরপর মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনকে ফিরিয়ে দেন রেজাউর রহমান রাজা। আমিনুল ইসলাম বিপ্লব কাটা পড়েন কামরুলের বলে। জেতার আশায় নিভে যাওয়া আকাশী-নীলদের শেষ দুই উইকেটও ছেঁটে ফেলেন কামরুল।
এর আগে টস জিতে মন্থর উইকেটে ব্যাট করতে যায় দোলেশ্বর। ওপেনার ইমরানুজ্জামানের সৌজন্যে এদিনও ভালো শুরু পায় তারা। মাত্র ১৬ বলেই ২৩ রান করে শুরুটা এনে দিয়ে যান তিনি।
সাইফ হাসান এই জায়গা থেকেই দলকে টেনেছেন। থিতু হতে সময় নিয়ে পরে পুষিয়ে দিয়ে রান বাড়িয়েছেন। মার্শাল আইয়ুবের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ৫৪ রানের জুটি আসে তার। মার্শাল করেন ২০। বাকি ব্যাটসম্যানদের কেউ দুই অঙ্কে যেতে না পারায় দেড়শো ছুঁতে পারেনি দোলেশ্বর। তবে এই রানই আবাহনীর জন্য হয়ে যায় বিশাল।
Comments