১০৮ রানের লক্ষ্যেই হাবুডুবু মাহমুদউল্লাহদের

মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বুধবার সন্ধ্যার ম্যাচে ৮ রানে জিতেছে শাইনপুকুর। ১০৮ রানের লক্ষ্যে নেমে ৯৯ রানেই গুটিয়ে গেছে গাজী গ্রুপ।

উইকেট খানিকটা মন্থর, বল আসছে ধীরে। তাতে সাব্বির হোসেন আর সাজেদুল হকের ব্যাটে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব করল মাত্র ১০৭ রান। সেই রান তাড়ায় নেমে রীতিমতো বিপর্যস্ত গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। মাহমুদউল্লাহরদের কাছে মোহর শেখ অন্তর, সুমন খানরা নিলেন ভয়াল রূপ।

মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বুধবার সন্ধ্যার ম্যাচে ৮ রানে জিতেছে শাইনপুকুর। ১০৮ রানের লক্ষ্যে নেমে ৯৯ রানেই গুটিয়ে গেছে গাজী গ্রুপ। তাদের গুটিয়ে ২২ রানে ৪ উইকেট নেন অন্তর, ২০ রানে ৩ উইকেট পেয়েছেন সুমন। 

এই ম্যাচ হারলেও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টির সুপার লিগ আগেই নিশ্চিত হয়ে গেছে গাজী। আর জিতে রেলিগেশন লিগ এড়ানো থেকে অনেক ভালো অবস্থায় চলে গেছে তৌহিদ হৃদয়ের শাইনপুকুর।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে তানজিদ হাসান তামিমকে শুরুতে হারালেও ঝড়ো শুরু পাইয়ে দেন সাব্বির হোসেন। এই তরুণের পাওয়ার প্লে বেশ ভালোই কাজে লাগায় শাইনপুকুর।

তবে ২৬ বলে ৩ ছক্কা, ৪ বাউন্ডারিতে সাব্বির ৪১ করে ফেরার পর উল্টো পথে হাঁটা শুরু তাদের। এরপর পড়তে থাকে একের পর এক উইকেট। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ১৪ রানেই শিকার করেন ৩ উইকেট। শেখ মেহেদী নেন দুটি।

পাঁচে নেমে ১৫ বলে ২৬ করে ফের রানের চাকা বাড়িয়েছিলেন সাজেদুল। বাকিদের আর কেউই পেরে না উঠায় তিন অঙ্ক পেরিয়েই থামে শাইনপুকুর। সাব্বির আর সাজেদুল ছাড়া আর কেউই দুই অঙ্কে যেতে পারেননি।

১০৮ রানের লক্ষ্যে নেমে ১৭ রানের মধ্যে সৌম্য সরকার ও শেখ মেহেদী হাসানকে হারিয়ে ফেলে গাজী। ৮ রান করে সুমনের শিকার হন মেহেদী। ২ রান করা সৌম্যকে ফেরান অন্তর।

এরপর মুমিনুল হক আর আকবর আলি মিলে প্রতিরোধ গড়েছিলেন। মুমিনুলকে তুলে নেন হাসান মুরাদ। আকবরকে বোল্ড করে দেন সুমন। ইয়াসির আলিকেও হাসান তুলে নিলে ৪৯ রানে ৫ ব্যাটসম্যান হারিয়ে ফেলে শিরোপা প্রত্যাশিরা।

অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ পারেননি ঘুরে দাঁড়াতে। ৪ রান করা মাহমুদউল্লাহ অন্তরের বলে ধরা পড়েন পয়েন্টে। আরিফুল হক সুমনের বলে তৌহিদ হৃদয়ের দারুণ ক্যাচে পরিণত হন।

লো স্কোরিং রান তাড়ায় নাসুম আহমেদ ১২ বলে ১৭ করে সামান্য আশা দেখালেও তা নিভতে দেরি হয়নি।

 

Comments