আইসিটি, ফার্মাসিউটিক্যাল, বায়ো ইন্ডাস্ট্রি খাতে বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়ার সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান

আইসিটি, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং বায়ো ইন্ডাস্ট্রি খাতে দক্ষিণ কোরিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা এবং অংশীদারিত্বকে আরও জোরদার করতে আহ্বান জানিয়েছেন এ খাত সংশ্লিষ্টরা।
ছবি: সংগৃহীত

আইসিটি, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং বায়ো ইন্ডাস্ট্রি খাতে দক্ষিণ কোরিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা এবং অংশীদারিত্বকে আরও জোরদার করতে আহ্বান জানিয়েছেন এ খাত সংশ্লিষ্টরা।

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে আজ বুধবার বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে ‘বাংলাদেশ ও আরওকে: বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে বক্তারা এ আহ্বান জানান।

এতে আইসিটিখাতসহ ফার্মাসিউটিক্যাল এবং বায়ো ইন্ডাস্ট্রিতে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়ানো এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়।

ওয়েবিনারের প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সাবেক সদস্য ড. মোস্তফা আবিদ খান। সঞ্চালনা করেন দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ ও শিল্প বিষয়ক উপদেষ্টা ও সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমান। তিনি তার বক্তব্যে বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের অর্জন এবং সম্ভাবনা এবং ফার্মাসিউটিক্যাল, বায়ো ইন্ডাস্ট্রি এবং আইসিটি সেক্টরে সহযোগিতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে দিকনির্দেশনা, সুপারিশ এবং ভবিষ্যত সম্ভাবনা তুলে ধরেন।

ওয়েবিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি ঝ্যাং কিউন। তিনি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে তা তুলে ধরে দুই দেশের সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের এসব সেক্টরে সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার আহ্বান জানান।

ভার্চুয়াল এ বৈঠকে দক্ষিণ কোরিয়া ও বাংলাদেশের সরকার ও বিভিন্ন বাণিজ্য সংস্থার প্রতিনিধিরা যুক্ত ছিলেন।

প্যানেলে বাংলাদেশের পক্ষে ছিলেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথোরিটি (পিপিপিএ) এর সচিব ও সিইও সুলতানা আফরোজ, বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন অথোরিটি (বেপজা) এর চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথোরিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) বিকর্ণ কুমার ঘোষ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থ প্রতিম দেব, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এর প্রেসিডেন্ট জসিম উদ্দিন এবং বাংলাদেশ সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর প্রেসিডেন্ট সৈয়দ আলমাস কবির।

দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষে ছিলেন- কোরিয়া ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (কেওআইএমএ) প্রেসিডেন্ট হং কোয়াং হি, কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন (কেআইটিএ) এর ভাইস চেয়ারম্যান হাকহি জো এবং ইয়াংগন করপোরেশনের চেয়ারম্যান কিহাক সুং।

দুই দেশের বায়ো ও ফার্মাসিকিউটিক্যাল খাতের প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন- ইনসেপটা ফার্মাসিকিউটিক্যালের চেয়ারম্যান আব্দুল মুক্তাদির, এসিআই ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের গ্রুপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ দৌলা, ইন্টান্যাশনাল প্যারাসাইট রিসোর্স ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক কিসিওন এস. ইয়োম, জিআইজি ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক জেকে লি এবং সিএসি ট্রেডিং লিমিটেডের চোই সু হি।

ওয়েবিনারে দুই দেশের আইটিখাত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা মত বিনিময় করেন। স্যামসাং এসওয়ান করপোরেশনের জেনারেল ম্যানেজার লি জানঘো, আলকাসেমির সিইও এনায়েতুর রহমান, টাইকন সিস্টেম লিমিটেডের সিইও এম এন ইসলাম কথা বলেন। সেমিনারে এইচএসবিসি ব্যাংকের প্রতিনিধিও অংশ নেন।

 

Comments

The Daily Star  | English

The psychological costs of an uprising

The systemic issues make even the admission of one’s struggles a minefield

8h ago