নাঈমের ঝড়ে আবাহনীর রোমাঞ্চকর জয়
শেষ ওভারে দরকার ছিল ১০ রান। মোহাম্মদ শহীদের প্রথম দুই বল থেকে ৩ রান নেওয়ার পর তৃতীয় বলে ছক্কা মেরে দিলেন নাঈম শেখ। দলের বিপর্যয়ে নেমে এই তরুণ বাঁহাতি দারুণ এক ঝড় তুলে আবাহনীকে পাইয়ে দিলেন রোমাঞ্চকর জয়।
মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার শেষ ওভারের উত্তেজনায় আবাহনী বৃষ্টি আইনে জিতেছে ৫ উইকেটে। ১৮ ওভারে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ করেছিলেন ১৬২ রান। ডি/এল মেথডে ১৮ ওভারে ১৬৪ রানের লক্ষ্যে আবাহনী পেরিয়েছে দুই বল আগে।
১৯ বলে ২ চার, ২ ছক্কায় ৩৯ করে দলকে জিতিয়ে নায়ক বনেছেন এদিন ছয় নম্বরে খেলতে নামা নাঈম। অবশ্য ২২ রানে তার সহজ ক্যাচ ছেড়ে দিয়ে সানজামুল ইসলামও অবদান রেখেছেন তাতে।
এই জয়ের পরও ১৬ পয়েন্ট নিয়ে তিনেই রইল আবাহনী। আর ম্যাচ হেরে যাওয়ায় রেলিগেশন লিগ খেলতে হবে রূপগঞ্জকে।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় মুনিম শাহরিয়ারকে নিয়ে ওপেন করতে নেমে ভালো শুরু আনেন নাজমুল হোসেন শান্ত। দুজনের ব্যাটেই ছিল আগ্রাসী মেজাজ। পঞ্চম ওভারে ১৬ বলে ২২ করেন ফেরেন মুনিম। শান্তর ব্যাট ছিল উত্তাল। রানের চাপ সরিয়ে দেন দারুণ ব্যাটিংয়ে।
১৯ বলে ১ চার, ২ ছক্কায় ২৯ করা শান্তকে ফেরান মোহাম্মদ শহিদ। এরপর অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম আর আফিফ হোসেন সাবলীলভাবে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন।
একাদশ ওভারে গিয়ে ৩৩ রানের জুটি ভাঙ্গে মুশফিকের বিদায়ে। ১৮ বলে ২০ করে রিভার্স সুইপ মারতে গিয়ে বিদায় হয় তার। পরের ওভারে একই রানে বিদায় নেন ১২ বলে ২১ করা আফিফ।
আচমকা বিপদে পড়া আবাহনী খানিক পর হারায় মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকেও। ঘন মেঘ যেন ভিড় করছিল আবাহনীর ড্রেসিংরুমে। মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনকে নিয়ে নাঈম সেটা সরিয়েছেন দক্ষ হাতে।
এর আগে জিতে ব্যাট করতে গিয়ে মেহেদী মারুফকে শুরতেই হারায় রূপগঞ্জ। কিন্তু দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দলকে চাঙ্গা করে তুলেন সাব্বির রহমান আর জাকের আলি অনিক।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তারা আনেন ৬৯ রান। পাওয়ার প্লেতেই আনেন ৫৮ রান। এরপর বৃষ্টিতে খেলা থেমে গেলে ছন্দও যেন হারিয়ে যায়। কিছুটা মন্থর হয়ে পড়েন তারা। দশম ওভারে ২৭ বলে ৩৫ করে মেহেদী হাসান রানার শিকার হন সাব্বির।
জাকের আলি টিকে থেকে তুলে নেন ফিফটি। তবে শেষ দিকে রান বাড়ানোর কাজটা করেছেন আল-আমিন জুনিয়র আর মুক্তার আলি। আল-আমিন মাত্র ১৪ বলে করেন ২৬, মুক্তার ৫ বলে করেন ১৪।
জুতসই একটা পুঁজি পেয়েও অবশ্য বোলিং ফিল্ডিংয়ের ব্যর্থতায় ম্যাচটা জেতা হয়নি তাদের।
Comments