রোনালদোর কোকাকোলা কাণ্ড: যা বলল উয়েফা
ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের অন্যতম স্পন্সর কোকাকোলা। কিন্তু পর্তুগালের অধিনায়ক ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো সংবাদ সম্মেলনে টেবিল থেকে কোমল পানীয়টির বোতল সরিয়ে রেখে জন্ম দেন আলোচনার। এ ঘটনায় তাকে শাস্তি দেওয়ার মতো কঠিন পদক্ষেপ না নিলেও অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে স্পন্সরদের সঙ্গে চুক্তির বাধ্যবাধতার কথা মনে করিয়ে দিয়েছে উয়েফা।
বৃহস্পতিবার নিজেদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে ইউরোপের সর্বোচ্চ ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি জানিয়েছে, ‘উয়েফা অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে মনে করিয়ে দিয়েছে যে, এই টুর্নামেন্ট সম্পাদনের জন্য এবং যুব ও নারীসহ ইউরোপ জুড়ে ফুটবলের বিকাশ নিশ্চিত করতে অংশীদারিত্ব অবিচ্ছেদ্য।’
গত সোমবার পর্তুগাল-হাঙ্গেরির ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে অবাক করার মতো কাণ্ড ঘটান রোনালদো। টেবিল থেকে কোকাকোলার বোতল দূরে সরিয়ে রাখেন তিনি। এরপর পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকা একটি পানির বোতল সামনে রেখে সংবাদ সম্মেলন শুরু করেন। ইঙ্গিতটা ছিল পরিষ্কার। কোমল পানীয় নয়, পানি খাওয়ার তাগিদ দেন তিনি।
পরদিন জার্মানির বিপক্ষে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হওয়ার পর ফ্রান্সের তারকা পল পগবা গিয়েছিলেন সংবাদ সম্মেলনে। তখন তার সামনের টেবিলের ডানদিকে কোকাকোলার দুটি বোতল এবং বামদিকে একটি পানির বোতল ও হেইনিকেন (এই প্রতিষ্ঠানটিও ইউরোর স্পন্সর) বিয়ারের বোতল ছিল। ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী পগবা বিয়ারের বোতলটি উঠিয়ে নিচে রেখে দেন।
সেখানেই শেষ নয়। বুধবার রাতে রোনালদোর মতো আরেকটি ঘটনার জন্ম দেন মানুয়েল লোকাতেল্লি। সুইজারল্যান্ডকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার পর ইতালির এই মিডফিল্ডারও সংবাদ সম্মেলনের টেবিল থেকে কোকাকোলার বোতল সরিয়ে সামনে রাখেন পানির বোতল।
২০২০ উয়েফা ইউরো টুর্নামেন্টের পরিচালক মার্টিন ক্যালেন জানিয়েছেন, মূল ইস্যুটা রোনালদোর কাণ্ড নিয়ে। তবে কেউ ধর্মীয় কারণে এমন কিছু করলে তা উপলব্ধি করবে আয়োজকরা, ‘যদি ধর্মীয় কারণ থাকে, তাহলে সেখানে (টেবিলে) বোতল রাখার দরকার নেই।’
বোতল সরিয়ে নেওয়ার অর্থ স্পন্সরদের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি ভঙ্গ করা। তাতে সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়দের শাস্তির সম্ভাবনা থেকে যায় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি, ‘আমাদের নিয়ম-নীতিগুলোতে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর ফেডারেশন স্বাক্ষর করেছে। আমরা তাদেরকে বাধ্যবাধকতার কথা মনে করিয়ে দিয়েছি। তবে এটার (জরিমানা) সম্ভাবনা অবশ্যই থেকে যায়।’
কীভাবে জরিমানা করা হতে পারে সেটারও ধারণা দিয়েছেন ক্যালেন, ‘আমরা উয়েফার পক্ষ থেকে সরাসরি কখনো কোনো খেলোয়াড়কে জরিমানা করি না। আমরা সবসময় অংশগ্রহণকারী জাতীয় দলের ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থার মাধ্যমে এটা করে থাকি।’
Comments