৩ বছরের জন্য এফএও কাউন্সিলের সদস্য হলো বাংলাদেশ
এশিয়া অঞ্চলের প্রতিনিধি হিসেবে তিন বছরের জন্য জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) কাউন্সিলের সদস্য মনোনীত হয়েছে বাংলাদেশ।
এ ছাড়া, বাংলাদেশ এফএও’র ক্রিডেনশিয়াল কমিটিরও সদস্য হিসেবে মনোনীত হয়েছে।
এফএও’র চলমান ৪২তম কনফারেন্সে এ সিদ্ধান্ত হয়। কোভিড-১৯ এর কারণে এবার ভার্চুয়ালি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত ১৪ জুন শুরু হওয়া এই কনফারেন্স আজ শেষ হবে।
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে আট সদস্যের প্রতিনিধি দল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। ঢাকা থেকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার, যুগ্ম সচিব তাজকেরা খাতুন, উপসচিব আলী আকবর ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের উপসচিব বিধান বড়াল অংশ নেন। এ ছাড়া, ইটালির রোম থেকে অংশ নেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান ও ইকনমিক কাউন্সিলর মানস মিত্র।
এর আগে সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন ১৫ জুন দুপুরের অধিবেশনে ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক ‘স্টেট অব ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারে (এসওএফএ)’ বাংলাদশের অবস্থান তুলে ধরেন। একইদিন সন্ধ্যার অধিবেশনে তিনি এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক অঞ্চলের (এপিআরসি) ৪৬টি সদস্য দেশের পক্ষ থেকে যৌথ বিবৃতি দেন।
কৃষিমন্ত্রী উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টির উন্নয়নে অভাবনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে। ২০ বছর আগে ১৯৯৯-২০০০ সালে এ সরকারের আগের আমলে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে ও বর্তমান সরকার এ আমলেও তা ধরে রেখেছে। মাথাপিছু আয় ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে ও দারিদ্র্য হ্রাস পেয়েছে। ফলে খাদ্যে মানুষের প্রবেশযোগ্যতা সহজতর হয়েছে। এ ছাড়া, বিগত দশকে অপুষ্টি দুই-তৃতীয়াংশ হ্রাস পেয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, চলমান কোভিড-১৯ এর শুরুতেই খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, সরবরাহ অব্যাহত রাখা ও দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্রুততার সঙ্গে ব্যবস্থা নেন। অধিক ফসল উৎপাদনের জন্য প্রতি ইঞ্চি জমি চাষের আওতায় আনতে নানামুখী প্রণোদনা প্রদান করেন।
‘জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে মানবসৃষ্ট দুর্যোগ ১১ লাখ রোহিঙ্গাও বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থা, অর্থনীতি ও পরিবেশে বিরূপ প্রভাব ফেলছে’ বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী। এ ছাড়া, এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের পানি স্বল্পতা ও পানি সমস্যা নিরসনের জন্য আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান জানান মন্ত্রী।
Comments