করোনাভাইরাস

চুয়াডাঙ্গায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হার ৩৯.৩৮ শতাংশ, মৃত্যু ২

চুয়াডাঙ্গায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯৩টি নমুনা পরীক্ষা করে করোনায় আক্রান্ত ৭৬ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার বিবেচনায় ৩৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত আরও দুই জন মারা গেছেন।
প্রতীকী ছবি

চুয়াডাঙ্গায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯৩টি নমুনা পরীক্ষা করে করোনায় আক্রান্ত ৭৬ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার বিবেচনায় ৩৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত আরও দুই জন মারা গেছেন।

আজ শনিবার জেলা সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসান এ তথ্য দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন।

তিনি জানান, এ নিয়ে জেলায় এখন পর্যন্ত দুই হাজার ৫২৩ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। আর মারা গেছেন ৭৭ জন। নতুন শনাক্ত ৭৬ জনের মধ্যে সদর উপজেলার ৩৫ জন, দামুড়হুদা উপজেলার ৩৫ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলার চার জন ও জীবননগর উপজেলার দুই জন।

গতকাল রাতের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চুয়াডাঙ্গায় মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৫০৮। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৪৪ জন, চার জনকে অন্যত্র রেফার করা হয়েছে এবং বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন ৪৬০ জন। সদর উপজেলায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১৭১। তাদের মধ্যে হাসপাতালে ১৯ জন, বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন ১৫১ জন ও রেফার করা হয়েছে একজনকে।

গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় সুস্থ হয়েছেন আরও সাত জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৯৩৮ জন।

চুয়াডাঙ্গায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে ভারত সীমান্তবর্তী দামুড়হুদা উপজেলা ১৪ দিনের জন্য বিশেষ লকডাউন দেওয়া হয়েছে। বিশেষ বিধি-নিষেধ জারি করা হয়েছে জীবননগর উপজেলাতেও।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসান বলেন, ‘সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। এরপরও স্বাস্থ্যবিধি মেনে শতভাগ মানুষ মাস্ক পরছে না। যে কারণে চুয়াডাঙ্গায় সংক্রমণ বেড়েই চলেছে।’

‘শুধু শহর ও শহরতলীতেই নয়, প্রত্যন্ত অঞ্চলেও মানুষ সংক্রমিত হচ্ছে। অনেকে সর্দি কাশি জ্বরে আক্রান্ত হয়েও নমুনা দিয়ে করোনা পরীক্ষা করাতে আগ্রহী হচ্ছে না। অসুস্থতার মাত্রা বেড়ে যখন শ্বাসকষ্ট তীব্রতর হচ্ছে, তখন তাদের নিকটজনেরা স্বাস্থ্যবিধি না মেনে তড়িঘড়ি করে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন। এ ধরনের রোগীর মৃত্যু হচ্ছে বেশি’, বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Bangabandhu-1 satellite: Another white elephant

The Bangabandhu-1 satellite, one of the marquee projects of the Awami League government, has turned into a financial black hole, costing the state coffer upwards of Tk 1,500 crore.

4h ago