২ দিনের বৃষ্টিতে জলাবদ্ধ পাবনা পৌর এলাকা, দুর্ভোগে শহরবাসী
গত দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে পাবনা পৌরসভার প্রায় অর্ধেক এলাকায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন পৌর এলাকার বাসিন্দারা। পৌর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিভিন্ন স্থানে পানি নিষ্কাশনের পথ সংকুচিত হয়ে যাওয়ায়, পানি নিষ্কাশন করতে সময় লাগছে।
আজ শনিবার সরেজমিনে পাবনা পৌর এলাকার রাধানগর, কালাচাদপারা, বেলতলা রোড, শালগারিয়া এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গত দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে এসব এলাকার সব ড্রেন আটকে গিয়ে রাস্তায় ও বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে।
পাবনা পৌর এলাকার বেলতলা রোডের আহমেদ রফিক স্কুল সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, গত দুই দিনের বৃষ্টিতে তার বাড়ির সামনের রাস্তায় পানি জমে আছে।
তিনি বলেন, 'শহর এলাকার বাসিন্দা হলেও, এখন আমরা দুর্গম এলাকার মানুষের মতোই মানবেতর জীবন যাপন করছি।'
পৌর এলাকার কুঠিপারার বাসিন্দা রিজভি রাইসুল জানান, তার বাড়ির ভেতরে বৃষ্টির জমা পানি ঢুকে পড়ায়, ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। ড্রেন দিয়ে খুব ধীরে ধীরে পানি নিষ্কাশিত হওয়ায়, এলাকার সবার দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
একই অবস্থা পাবনা শহরের রাধানগর এলাকার যুগিপারা এলাকায়। ড্রেন দিয়ে পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় যুগিপারা, মাঠপারা, নয়নামতিসহ রাধানগর এলাকার বেশীরভাগ এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে।
পৌর এলাকার শালগারিয়ার বাসিন্দা রাসেল দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, তার বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় পানি নামছে না।
বর্ষা মৌসুমের আগে পৌরসভা ড্রেন মেরামতের কাজ শেষ করতে না পারায় এবং পানি নিষ্কাশনের যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায়, বর্ষা শুরুর বৃষ্টিতে পাবনা শহরে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
তবে এ বিষয়ে পাবনা পৌরসভার মেয়র শরিফ উদ্দিন প্রধান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পৌর এলাকার জলাবদ্ধতা একটি পুরনো সমস্যা। আমরা এ সমস্যা দূর করার জন্য ইতিমধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছি। বিভিন্ন এলাকার ড্রেনের আবর্জনা পরিষ্কার করে পানি নিষ্কাশন সমস্যা দূর করা হয়েছে।'
তবে, এখনও অনেক এলাকায় জলাবদ্ধতা রয়ে গেছে বলে জানান তিনি।
পৌরসভার ১৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৭, ৮, ৯, ১১, ১২ নম্বর ওয়ার্ডে সবচেয়ে বেশি জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি জানান, এসব এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে পাবনা পৌরসভা।
এদিকে ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিস ১৯১ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে, যা এ বছরের বর্ষা মৌসুমের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের রেকর্ড।
সাগরে লঘুচাপের কারণে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। বৃষ্টিপাত আরও দুই-তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানান তিনি।
Comments