বেনাপোল ও শার্শায় সংক্রমণ বাড়ছে, ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা ৪৩ শনাক্ত ২৯
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে বেনাপোলসহ পুরো শার্শা উপজেলায় চলছে কঠোর লকডাউন। এর মধ্যে, আজ শনিবার ২৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইউসুফ আলী দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানান।
বৃহস্পতিবার শার্শা উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি বেনাপোল ও শার্শায় কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে। যা আগামী এক সপ্তাহ পর্যন্ত বলবত থাকবে বলে জানান পুলিশের নাভারন সার্কেলের এএসপি জুয়েল ইমরান।
তিনি বলেন, ‘সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত শুধু নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকানপাট খোলা থাকবে। ৩টার পর থেকে কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে না। শুধু ওষুধের দোকান ও ভারতফেরত যাত্রীদের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য নির্ধারিত আবাসিক হোটেল এবং খাবার হোটেল সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে।’
শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইউসুফ আলি জানান, সীমান্তবর্তী বেনাপোল ও শার্শায় করোনার প্রকোপ বেড়ে গেছে। করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্য বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় শার্শা উপজেলায় ৪৩টি নমুনার মধ্যে ২৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। বেনাপোল ও শার্শায় এ পর্যন্ত ৬৫০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীর আলিফ রেজা জানান, করোনা প্রতিরোধ কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক উপজেলায় সাত দিনের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সবাইকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান করতে হবে। গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। বিকেল ৩টার পর সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে। মোটরসাইকেলে একজন ও ইজিবাইকে দুজনের বেশি যাত্রী বহন করা যাবে না। সবপ্রকার গণ-জমায়েত, সভা-সমাবেশ, মিছিল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। হোটেল, রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়া যাবে না এবং চায়ের দোকানে বেঞ্চ, কেরামবোর্ড ও টেলিভিশন রাখা যাবে না। বিনা কারণে সন্ধ্যা ৬টার পরে ঘরের বাইরে আসা যাবে না।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, ভারতফেরত যাত্রীদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে। ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট যাতে ছড়াতে না পারে, সেজন্য তাদেরকে সাবধানে কোয়ারেন্টিনে হোটেলে পাঠানো হচ্ছে। গত ২৬ এপ্রিল থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত ভারত থেকে পাঁচ হাজার ৩৯৯ জন পাসপোর্টধারী যাত্রী বাংলাদেশে ফিরেছেন। কোভিড পজিটিভ সনদ নিয়ে ভারত থেকে ফিরেছেন ১৩ জন। ফেরত আসা বাংলাদেশিদের মধ্যে ৪৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
Comments