লকড আপ ইন মালয়েশিয়া'স লকডাউন

‘জার্নালিস্ট অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন আল জাজিরার সাংবাদিক ড্রিউ অ্যামব্রোস

কোভিড-১৯ মহামারিতে মালেশিয়ায় অভিবাসী শ্রমিকদের ওপর কর্তৃপক্ষের নিপীড়ন নিয়ে তৈরি ‘লকড আপ ইন মালয়েশিয়া'স লকডাউন’ ডকুমেন্টারির জন্য লন্ডনের ওয়ান ওয়ার্ল্ড মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডসে ‘জার্নালিস্ট অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন আল জাজিরার সাংবাদিক ড্রিউ অ্যামব্রোস।
ড্রিউ অ্যামব্রোস

কোভিড-১৯ মহামারিতে মালেশিয়ায় অভিবাসী শ্রমিকদের ওপর কর্তৃপক্ষের নিপীড়ন নিয়ে তৈরি ‘লকড আপ ইন মালয়েশিয়া'স লকডাউন’ ডকুমেন্টারির জন্য লন্ডনের ওয়ান ওয়ার্ল্ড মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডসে ‘জার্নালিস্ট অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন আল জাজিরার সাংবাদিক ড্রিউ অ্যামব্রোস।

ফ্রি মালেশিয়া টুডে জানায়, আল জাজিরার ‘১০১ ইস্ট’ অনুষ্ঠানের সাপ্তাহিক আয়োজনের অংশ হিসেবে নির্মিত ২৫ মিনিটের ওই তথ্যচিত্রের জন্য তাকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। তার আরেকটি প্রতিবেদন ছিল পশ্চিম পাপুয়ার বন উজাড় বিষয়ে।

‘লকড আপ ইন মালয়েশিয়া'স লকডাউন’ তথ্যচিত্রটি গত বছর ৩ জুন প্রচারিত হয়। সেখানে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের কথা উঠে আসে।

ওই ডকুমেন্টারিতে সাক্ষাৎকার দেওয়ায় বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিক রায়হান কবিরকে আটক করা হয়েছিল। পরে তার ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করে তাকে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

পুরষ্কারের বিষয়ে ফেসবুক পোস্টে অ্যামব্রোস বলেন, ‘সত্যিকারের নায়ক—এম রায়হান কবিরকে অনেক ধন্যবাদ। লকডাউনের মধ্যে অভিবাসী শ্রমিকদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের জন্য মালয়েশিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলায় তাকে গ্রেপ্তার, পরবর্তীতে আটকে রাখা ও দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘সত্য বলতে পারে এমন সাহসী মানুষ ছাড়া আপনি দুর্দান্ত সাংবাদিকতা করতে পারবেন না। রায়হানের ওপর ব্যাপক চাপ প্রয়োগ করা হয়েছিল, তবুও তিনি মিথ্যা সাক্ষ্য দেননি।’

প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর আল জাজিরার সাত সাংবাদিককে রাষ্ট্রনীতি, মানহানি এবং নেটওয়ার্ক সুবিধার অপব্যবহারের অভিযোগে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল।

‘১০১ ইস্ট’ টিমে কাজ করা চার সাংবাদিকের একজন ছিলেন অ্যামব্রোস। ওই প্রতিবেদনের জেরে মালয়েশিয়া সরকার তাদের প্রত্যেকের ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করে।

লন্ডনের বিচারকদের প্যানেল অ্যামব্রোসের ওই প্রতিবেদনের প্রশংসা করে তার কাজটিকে সৎ, নির্ভীক ও পুঙ্খানুপুঙ্খ বলে মন্তব্য করেছেন। তারা জানান, এমন বিষয় সব সময়ই সংবাদ এজেন্ডার ওপরে থাকে।

পুরস্কার প্রাপ্তির বিষয়ে অ্যামব্রোস বলেন, ‘পুরস্কার পাওয়া সম্মানের। এমন এক বছরে এই সম্মাননা পেলাম যখন মহামারি বিশ্বব্যাপী সংবাদ সংগ্রহের ক্ষেত্রে মারাত্মক চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে।’

তিনি জানান, বিশ্বজুড়ে মিডিয়ার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। এ অবস্থায় পর্দার আড়ালে কী চলছে তা প্রকাশ করা আগের চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

আল জাজিরায় প্রচারিত তথ্যচিত্রটি যুক্তরাষ্ট্র ও হংকংয়েও পুরস্কার জিতেছে। গ্লোবাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম নেটওয়ার্ক তথ্যচিত্রটিকে ২০২০ সালের রিপোর্টিংয়ের অন্যতম সেরা হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।

Comments

The Daily Star  | English
Chief Adviser Muhammad Yunus

Chief Adviser Yunus's UNGA trip a critical turning point

Now is the best chance for Bangladesh to strengthen international cooperation.

11h ago