বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে রুখে দিল হাঙ্গেরি
প্রথমার্ধের শেষ দিকে দারুণ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল হাঙ্গেরি। অঘটনের আভাস নিয়ে শুরু দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য মরিয়া চেষ্টা চালালো ফ্রান্স। অঁতোয়ান গ্রিজমান পরে গোল করলে সমতা আনলেও ম্যাচ জেতা হয়নি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের।
শনিবার সন্ধ্যায় বুদাপেস্টে ডেথ গ্রুপ খ্যাত ‘এফ’ গ্রুপের ফ্রান্স-হাঙ্গেরি ম্যাচ হয়েছে ১-১ গোলে ড্র। বিরতির আগে যোগ করা সময়ে হাঙ্গেরির হয়ে গোল করেন আতিলা ফিওলা। ৬৬ মিনিটে গিয়ে শোধ দেন গ্রিজম্যান।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে তারকায় ভরা পর্তুগালকেও লম্বা সময় আটকে রেখেছিল হাঙ্গেরি। শেষ দিকে পর্যুদস্ত হয়ে তারা খায় ৩ গোল। ফ্রান্সের বিপক্ষে এদিন আরও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ দেখালো হাঙ্গেরিকে।
খেলার চতুর্থ মিনিটে ফ্রি কিক পেয়েছিল হাঙ্গেরি। তা কাজে লাগাতে পারেনি তারা। দশম মিনিটে রোলান্ড সালাইকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন বেঞ্জামিন পাভার্ড।
১৪ মিনিটে দারুণ সুযোগ আসে ফরাসীদের সামনে। কিন্তু কিলিয়ান এমবাপে আর গ্রিজম্যানের দুই শট ফিরিয়ে দেন হাঙ্গেরি গোলরক্ষক গুলাসি।
৩১ মিনিটে সুযোগ তৈরি করেছিলেন পল পগবা। তার কাছ থেকে বল নিয়ে নেটের বাইরে মারেন করিম বেঞ্জামা।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে হয় ফ্রান্সের সর্বনাশ। ডিফেন্ডার পাভার্ডের ভুলে ফিওলা বল নিয়ে ঢুকে যান বক্সে। দারুণ শটে জালে জড়িয়ে মাতেন উল্লাসে।
বিরতির পর খেলায় ফিরতে মরিয়া চেষ্টা চালায় ফ্রান্স। গ্রিজম্যান, এমবাপেরা সুযোগ তৈরি করতে থাকেন বারবার। তবে তা প্রতিহত হচ্ছিল হাঙ্গেরির রক্ষণ দেয়ালে।
ফ্রান্সের আক্রমণ ঠেকিয়ে প্রায়ই প্রতি আক্রমণে যাচ্ছিল হাঙ্গেরি। মিডফিল্ড থেকে ভালো কিছু সুযোগ হলেও ফিনিশিং দুর্বলতায় তা কাজে লাগানো যায়নি।
বিপরীতে খেলায় ফিরতে আন্দ্রিয়েন র্যাবিয়টের বদলি নামানো ওসমান ডেম্বেলেকে। ৫৯ মিনিটে তিনি গোল পেয়েও গিয়েছিলেন প্রায়। তার বক্সের বাইরে থেকে জোরালো বারে লেগে প্রতিহত হয়। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ৬৮ মিনিটে গিয়ে হার এড়ানো গোল পায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
ডান দিক থেকে এমবাপে বল দিয়েছিলেন বক্সে। ফাঁকায় পেয়ে যান গ্রিজমান। জালে জড়তে কোন ভুল করেননি বার্সেলোনা তারকা। এরপর নিষ্প্রভ থাকা বেনজামাকে তুলে অলিভিয়ার জিরুডকে নামিয়েছিলেন দিদিয়ের দেশম। লাভ হয়নি। বাকি কয়েক মিনিট ফ্রান্সের একের পর এক আক্রমণ রুখে দেয় হাঙ্গেরির রক্ষণ।
এই ড্রয়ের পর দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠা কিছুটা অনিশ্চয়তায় পড়ল টুর্নামেন্টের হট ফেভারিট ফ্রান্সের।
Comments