প্রতিকূল আবহাওয়ার দাপটের মাঝে ভারত-নিউজিল্যান্ড সমানে সমান
মেঘলা আকাশ দেখে পাঁচ পেসার নিয়ে নামা নিউজিল্যান্ড বোলিং নিয়েছিল। তবে তাদের চোখ রাঙানি সামলে ভালো শুরু পায় ভারত। পরে দ্রুত উইকেট তুলে খেলায় ফিরে নিউজিল্যান্ডও। আলোক স্বল্পতায় খেলা বন্ধের আগে অধিনায়ক বিরাট কোহলি আবার দাঁড়িয়ে গেছেন। তার ব্যাটে ছুটছে ভারত।
সাউদাম্পটনে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে প্রথমদিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর শনিবার শুরু হয় খেলা। তাও পুরো দিনে হয়েছে ৬৪.৪ ওভার। তাতে টস হেরে ব্যাট করতে নামা ভারত তুলেছে ৩ উইকেটে ১৪৬ রান। ৪৪ রান নিয়ে ব্যাট করছেন কোহলি। সহ-অধিনায়ক আজিঙ্কা রাহানে অপরাজিত আছেন ২৯ রানে।
সকালে ব্যাট করতে গিয়ে রোহিত শর্মা আর শুভমান গিল ছিলেন ইতিবাচক অ্যাপ্রোচে। ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদিকে থিতু হতে দেননি। নির্বিঘ্নে পার করে দেন প্রথম ঘন্টা। সহজে আসছিল রানও।
কাট, পুল, ড্রাইভে অথরিটি নিয়ে খেলতে দেখা যায় দুজনকে। মনে হচ্ছিল প্রথম সেশন পার করে বড় কিছুর দিকেই ছুটবেন তারা। তবে ২১তম ওভারে গিয়ে ফুল লেন্থের পরিকল্পিত দারুণ এক বলে রোহিতকে ফেরান কাইল জেমিসন। ড্রাইভে প্রলুব্ধ করে ৬৮ বলে ৩৪ করে এই ডানহাতি পেসার রোহিতের ক্যাচ বানান স্লিপে। নিচু ক্যাচটা সাউদি অবশ্য নিয়েছেন দারুণ দক্ষতায়।
মাত্র ১ রান পরই শুভমান গিলও শেষ। বাঁহাতি পেসার নেইল ওয়েগানারের গুড লেন্থের বল ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ২৮ করা গিল।
এরপর চেতশ্বর পূজারাকে নিয়ে প্রতিরোধ শুরু কোহলির। পূজারা জমে ছিলেন। ৩৬তম বলে গিয়ে রানের খাতা খুলেন তিনি। মন্থর গতিতে ব্যাট করলেও টিকে থাকা হয়নি তার। পরের স্পেলে ফিরে ভেতরে ঢোকা বলে তাকে কাবু করেন বোল্ট। ৫৪ বলে ৮ করে ফেরেন এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন ভারতের নাম্বার থ্রি।
অধিনায়ক-সহ অধিনায়ক মিলে পার করে দেন বাকিটা। আলোক স্বল্পতায় খেলা বন্ধ হওয়ার আগে দুজনের জুটিতে এসেছে ৫৮ রান।
খারাপ আবহাওয়ার জন্য প্রথমদিন পুরোটা এবং দ্বিতীয় দিনের অনেকটা সময় ভেস্তে গেছে। তবে তা পুষিয়ে নিতে কাজে আসতে পারে রিজার্ভ ডে। এই ফাইনালের জন্য রাখা হয়েছে রিজার্ভ ডের ব্যবস্থা। সেক্ষেত্রে খেলা গড়াতে পারে ষষ্ঠ দিনে। সেরকম পরিস্থিতি হলে লাগবে ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রডের অনুমোদন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ভারত প্রথম ইনিংস: ৬৪.৪ ওভারে ১৪৬/৩ (রোহিত ৩৪, গিল ২৮, পূজারা ৮, কোহলি ব্যাটিং ৪৪*, রাহানে ব্যাটিং ২৯* ; সাউদি ০/৪৭, বোল্ট ১/৩২, জেমিসন ১/১৪, গ্র্যান্ডহোম ০/২৩, ওয়েগনার ১/২৮)
Comments