ফাইজারের টিকাদান শুরু আগামীকাল

Dr_Shamsul.jpg
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমএনসিঅ্যান্ডএএইচের লাইন ডিরেক্টর চিকিৎসক মো. শামসুল হক। ছবি: সংগৃহীত

আগামীকাল থেকে ঢাকায় ফাইজার-বায়োএনটেকের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

আজ রোববার করোনা সংক্রান্ত সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে অংশ নিয়ে অধিদপ্তরের এমএনসিঅ্যান্ডএএইচের লাইন ডিরেক্টর চিকিৎসক মো. শামসুল হক এ কথা বলেছেন।

ডা. শামসুল হক বলেন, ‘আমাদের হাতে কোভ্যাক্স থেকে ফাইজার-বায়োএনটেকের প্রায় এক লাখ ৪২০ ডোজ ভ্যাকসিন এসেছে। সেই ভ্যাকসিনের প্রদান কার্যক্রম আমরা আগামীকাল থেকে শুরু করতে যাচ্ছি। ঢাকার তিনটি হাসপাতালে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। হাসপাতালগুলো হলো, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ), শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এবং কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল। প্রতিটি কেন্দ্রে গড়ে ১২০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। যারা ইতোপূর্বে নিবন্ধন করেছিলেন কিন্তু টিকা নেননি বা নিতে পারেননি তারা আগামীকাল এলে এই কেন্দ্রগুলো থেকে টিকা নিতে পারবেন। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ফার্স্ট রানে আমরা যাদের টিকা দেবো, তাদের পর্যবেক্ষণ করা হবে। সাত থেকে ১০ দিন পরে সেকেন্ড রান চালু হবে। আমরা আশা করি, আরও কয়েকটি সেন্টার ঢাকায় চালু হবে।’

‘গত ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের উদ্বোধন করেন। তখন থেকে ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে চীন থেকে আমরা সিনোফার্মের ভ্যাকসিন পাই। গত ২৫ মে থেকে সেই ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজের জন্য যারা অপেক্ষমাণ আছেন, অনেকে দুশ্চিন্তায় আছেন আর ভ্যাকসিন আসবে কি না তাদের বলতে চাই, আমাদের পাইপলাইনে যে ভ্যাকসিনগুলো আছে, যেগুলো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, আমরা শিগগির ভ্যাকসিন পেয়ে যাব। অনেক কেন্দ্রে এখনো ভ্যাকসিন আছে। যারা অপেক্ষমাণ আছেন, তারা কেন্দ্রগুলোতে গিয়ে তারা ভ্যাকসিন নিয়ে নিতে পারবেন’— বলেন ডা. শামসুল হক।

Comments

The Daily Star  | English
Global fashion brands are reaping triple-digit profits on Bangladeshi garments

Fast fashion, fat margins: How retailers cash in on low-cost RMG

Global fashion brands are reaping triple-digit profits on Bangladeshi garments, buying at $3 and selling for three to four times more. Yet, they continue to pressure factories to cut prices further.

13h ago