এখনও ইতালিকে ফেভারিট মানতে নারাজ কোচ মানচিনি
ফ্রান্স, জার্মানি, পর্তুগাল, ইংল্যান্ড ও স্পেনের মতো শক্তিশালী দল এখনও ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের নকআউট নিশ্চিত করতে পারেনি। তাদেরকে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ পর্যন্ত। অন্যদিকে, ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বরে থাকা বেলজিয়ামের পাশাপাশি শেষ ষোলোর টিকিট ইতোমধ্যে নিশ্চিত করেছে ইতালি। এক ম্যাচ হাতে গ্রুপ পর্বের বাধা পাড়ি দেওয়া আজ্জুরিরা রয়েছেও দুরন্ত ছন্দে। তারপরও নিজেদের ফেভারিট মানতে নারাজ তাদের কোচ রবার্তো মানচিনি।
সবশেষ টানা ২৯ ম্যাচে হারেনি ইউরোর ১৯৬৮ আসরের চ্যাম্পিয়ন ইতালি। আগের ১০ ম্যাচে তারা হজম করেনি কোনো গোল। এমন অপ্রতিরোধ্য যাত্রা সত্ত্বেও ২০২০ ইউরো জয়ে ইতালিয়ানদের এগিয়ে রাখছেন না মানচিনি। অন্য কয়েকটি দলকে ফেভারিট মানছেন তিনি, ‘ফ্রান্স, স্পেন, জার্মানি ও পর্তুগাল (শিরোপা) জিততে অভ্যস্ত। তারা অসাধারণ সব খেলোয়াড়ে পরিপূর্ণ। হাঙ্গেরির সঙ্গে ড্র করা সত্ত্বেও ফ্রান্স ফেভারিটই থাকছে। এই তালিকায় বেলজিয়ামও আছে।’
রবিবার রাতে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে ঘরের মাঠ রোমের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ওয়েলসের মুখোমুখি হবে ইতালি। ২ ম্যাচে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা মানচিনির শিষ্যদের ঠিক পেছনেই আছেন গ্যরেথ বেল-অ্যারন রামসেরা। তাদের খেলার ধরনকে এক সময় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা ক্লাব স্টোক সিটির শারীরিক শক্তিনির্ভর কৌশলের সঙ্গে তুলনা করেছেন মানচিনি।
২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ম্যানচেস্টার সিটির কোচ থাকাকালে কয়েক দফা স্টোককে মোকাবিলা করেছিলেন মানচিনি। সেই স্মৃতি হাতড়ে সাবেক এই ফুটবলার বলেছেন, ‘স্টোকের খেলার ধরণটা ছিল শারীরিক শক্তিনির্ভর। ওদের সহজে দমানো যেত না। শারীরিক দৃষ্টিকোণ থেকে এটা (ওয়েলসের বিপক্ষে) একটা কঠিন ম্যাচ হতে যাচ্ছে।’
একইসঙ্গে ওয়েলসের ফুটবলারদের টেকনিক্যাল দিকের প্রশংসা করতেও ভোলেননি মানচিনি, ‘তারা কেবল স্টোকের মতো (শারীরিকভাবে) শক্তিশালী দলই নয়, টেকনিক্যাল দিক থেকেও থেকে তারা অনেক শক্তিশালী। তাদের (জো) অ্যালেন, (গ্যারেথ) বেল ও (ড্যানিয়েল) জেমসের মতো খেলোয়াড় আছে। তাদের খেলোয়াড়রা গুণসম্পন্ন ও দক্ষ।’
উল্লেখ্য, ওয়েলসের বিপক্ষে ম্যাচে প্রায় শতাব্দী পুরনো একটি রেকর্ড হাতছানি দিচ্ছে ইতালিকে। ১৯৩৫ সালের নভেম্বর থেকে ১৯৩৯ সালের জুলাইয়ের মধ্যে টানা ৩০ ম্যাচে অপরাজিত ছিল তারা। বেলদের হারাতে পারলেই সেই কীর্তিতে ভাগ বসাবেন লিওনার্দো বোনুচ্চি-চিরো ইম্মোবিলে-মানুয়েল লোকাতেল্লিরা।
Comments