কুষ্টিয়ায় ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ৭, শনাক্ত ৩৬.৭২ শতাংশ, জেলা লকডাউন
কুষ্টিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ২২৬ জনের নমুরা পরীক্ষায় ৮৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩৬ দশমিক ৭২ শতাংশ।
আজ সোমবার জেলা সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানান।
এর আগের ২৪ ঘণ্টায়ও সাত জনের মৃত্যু হয়েছিল। একই সময়ে ৫৪৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ১৬৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। শনাক্তের হার ছিল ২৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ। তার আগের ২৪ ঘণ্টায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল এবং ৩৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছিল ১১২ জনের। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ছিল ৩০ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
এদিকে জেলায় করোনার সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় আজ ভোর থেকে পুরো জেলায় লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন।
সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া সবাই কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাদের বাড়ি কুষ্টিয়া সদর।
সিভিল সার্জন বলেন, ‘আজ ভোর পর্যন্ত কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের ৫০ শয্যার করোনা ইউনিটে ভর্তি আছেন ৯১ জন। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি ছিলেন ৯১ জন। তার আগের ২৪ ঘণ্টায় ছিলেন ১০২ জন।’
তিনি আরও জানান, বর্তমানে জেলায় হোমআইসোলেশনে আছেন ১১৫৭ জন। আগের ২৪ ঘণ্টায় ছিলেন এক হাজার ১৯৫ জন। তার আগের ২৪ ঘণ্টায় ছিলেন ৯৬৪ জন।
এ পর্যন্ত কুষ্টিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ছয় হাজার ৪২২ জন এবং মারা গেছেন ১৫৪ জন।
কুষ্টিয়া ২৫০-শয্যার জেনারেল হাসপাতালকে করোনা ডেডিকেটেড ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল ও কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকগণ চিকিৎসা সেবা দিয়ে চলেছেন।
লকডাউন
এদিকে, করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় আজ সোমবার ভোর থেকে পুরো জেলায় কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন। গত ১১ জুন থেকে কুষ্টিয়া পৌর এলাকায় কঠোর লকডাউন চলছিল।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম জানান, জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে এ লকডাউন দেওয়া হয়েছে।
Comments