বরিশাল বিভাগের ১৭৩ ইউপি নির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলছে

বরিশাল বিভাগের ৩৩ উপজেলার ১৭৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে। একইসঙ্গে আজ ঝালকাঠি পৌরসভাতেও নির্বাচন হচ্ছে।
সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। ছবিটি সকাল দশটার দিকে বরিশালের কাশিপুর ইউনিয়নের ১২ নং তিলককলাডেমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে তোলা। ছবি: টিটু দাস

বরিশাল বিভাগের ৩৩ উপজেলার ১৭৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে। একইসঙ্গে আজ ঝালকাঠি পৌরসভাতেও নির্বাচন হচ্ছে।

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ছয় জেলায় মোট ২৮ লাখ ৯৮ হাজার ৮৬৯ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে ১৯টি ইউনিয়ন পরিষদে ইভিএম ব্যবহার হচ্ছে।

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, ১০ হাজারের বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ৭৫০ র‌্যাব ছাড়াও বিজিবি স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে।

এ ধাপে বরিশাল জেলার ৫০ ইউনিয়নে, পটুয়াখালীতে ২৯, বরগুনায় ২৯, ঝালকাঠিতে ৩১, ভোলায় ১২ এবং পিরোজপুরে সাতটি ইউপিতে নির্বাচন হচ্ছে।

সকালে বৃষ্টির মধ্যে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু হলেও ভোটকেন্দ্রের কোথাও কোথাও ভিড় দেখা গেছে। তবে, কোথাও সামাজিক দূরত্ব, মাস্কের ব্যবহার বা স্যনিটাইজেশন ছিল না।

বরিশালের গৌরনদী উপজেলার নারী, বাটাজোর ও চাদশী ইউপির রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, সকাল দশটা পর্যন্ত দশ ভাগ ভোট পড়েছে। এখানে পরিস্থিতি ভালো, আশা করা যায় সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভোট দেওয়ার হার বাড়বে।

বরিশাল বিভাগের সর্বদক্ষিণের উপজেলা মনপুরা উপজেলার হাজিরহাট ও দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সকাল সোয়া দশটা পর্যন্ত পাঁচ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন রিটার্নিং অফিসার সঞ্জীব কুমার সরকার। তিনি জানান, বৃষ্টির কারণে ভোটার উপস্থিতি কম।

পিরোজপুর জেলার মিরুখালি, তুষখালি ও বেতমোর ইউনিয়ন পরিষদের রিটার্নিং কর্মকর্তা নাজমুল হাসান, সোয়া দশটা নাগাদ অন্তত ১৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। দুয়েকটি কেন্দ্রে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

বরিশাল সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের কলাডেমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার গৌতম কুমার সাহা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, এখানে প্রথম দুই ঘণ্টায় মোট ২৫০ জন ভোট দিয়েছে।

আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, পিরোপজুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, পটুয়াখালী জেলার বাউফল ও বরিশালের বাকেরগঞ্জের দরিয়াল ইউনিয়নে কেন্দ্রের বাইরে বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তবে, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।

আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সকালে বৃষ্টির কারণে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। সময় যত বাড়ছে ভোটার উপস্থিতিও বাড়ছে। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিচ্ছেন, কোথাও কোনো সমস্যা হচ্ছে না। আশা করছি সুন্দরভাবে ভোট গ্রহণ শেষ হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Don’t stop till the dream comes true

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus yesterday urged key organisers of the student-led mass uprising to continue their efforts to make students’ and the people’s dream of a new Bangladesh come true.

1h ago