সাইফ হাসানের ঝড়ে উড়ে গেল শেখ জামাল ধানমন্ডি
চরম বিপর্যয়ে পড়া শেখ জামাল ধানমন্ডিকে ঝড়ো ইনিংসে কিছুটা লড়াইয়ের পুঁজি পাইয়ে দিয়েছিলেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। তবে রান তাড়ায় গিয়ে সাইফ হাসান তা বানিয়ে দিলেন মামুলি। তার ঝড়ো ফিফটিতে অনায়াসে ম্যাচ জিতল প্রাইম দোলেশ্বর।
সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টির সুপার লিগের ম্যাচ হয়েছে একপেশে। আগে ব্যাট করে মাত্র ১২৩ রান করেছিল শেখ জামাল। ১৪ বল আগে ওই রান পেরিয়ে ৬ উইকেটে জিতেছে শিরোপা প্রত্যাশী প্রাইম দোলেশ্বর। এই জয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিনে দোলেশ্বর। আবাহনী সমান ১৮ পয়েন্ট নিয়েও রানরেটে এগিয়ে আছে শীর্ষে, দুইয়ে প্রাইম ব্যাংক।
দলের জয়ে ৩৩ বলে ৭ চার, ৩ ছক্কায় ৬০ রান করেন সাইফ।
সহজ রান তাড়ায় নেমে ইমরানুজ্জামানকে নিয়ে দারুণ শুরু আনেন সাইফ। সাইফই ছিলেন আগ্রাসী। সালাউদ্দিন শাকিলকে চড়াও হয়ে ইনিংস শুরুর পর কখনই ধুঁকেননি।
সাইফের ঠিক বিপরীত খেলতে থাকা ইমরান ২৪ বলে ২০ রান করে ফিরলে ভাঙ্গে ৬৫ রানের জুটি। সাইফ চালিয়ে যান এরপরও। ৩০ বলে ফিফটি তুলে নেন এই ডানহাতি। ৩৩ বলে ৬০ রান করে সোহরাওয়ার্দি শুভকে মারতে গিয়ে ইলিয়াস সানির হাতে ধরা পড়েন।
৮৯ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়লেও দ্রুত রান আসায় ম্যাচ জেতার কাছে চলে যায় দোলেশ্বর। এরপর মার্শাল আইয়ুব আর ফজলে মাহমুদ রাব্বি রানে বলে তুলে দলকে নিয়ে যাচ্ছিলেন জেতার কাছে। জেতার আগে দুজনকেই ফিরিয়ে মোহাম্মদ আশরাফুল নিজেদের হার করেন কিছুটা প্রলম্বিত।
সকালে টস হেরে ব্যাট করতে গিয়ে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়ে শেখ জামাল। আগের দিন প্রাইম ব্যাংককে হারানো দলটি চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। আগের দিন ঝড় তুলা ওপেনার সৈকত আলি প্রথম ওভারেই ফিরে যান। ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা রেখে আশরাফুল করেন ৮ বলে ৪ রান। তিনে নেমে টিকে থাকার লড়াইয়ে ছিলেন ইমরুল কায়েস। আরেকদিন তানবীর হায়দার, ইলিয়াস সানিরা দ্রুত বিদায় নিলে ৪৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে শেখ জামাল। ইমরুলও পারেননি চাহিদা মেটাতে। রেজাউর রহমান রাজার বলে ২৮ বলে ২৭ করে থেমেছে তার দৌড়।
চরম বিপর্যস্ত পরিস্থিতি থেকে দারুণ ঝড়ে দলকে বাঁচিয়েছেন সোহান। আগের দিনের ঝড় নিয়ে আসেন এদিনও। পুল, স্লগ সুইপে আনতে থাকেন বাউন্ডারি। তার ২৪ বলে ৪২ রানের ইনিংসটি শেষ হয়েছে দৃষ্টিকটুভাবে। ইচ্ছে করে ফিল্ডিং বাধা দিয়ে ‘অবস্ট্রাক্টিং দা ফিল্ড’ আউট হন তিনি। এবারের লিগে এই নিয়ে দ্বিতীয় ‘অবস্ট্রাক্টিং দা ফিল্ড’ আউটের ঘটনা এটি। এর আগে মোহামেডানের ইয়াসিন আরাফাত মিশু হয়েছিল এই আউটের শিকার।
৯ বল আগে সোহান আউট হওয়ায় রানটা থাকে ১২০ এর আশেপাশে। এই অল্প পুঁজিতে ম্যাচ জেতার আশা হয়ত করেননি তারা নিজেরাও। শেখ জামালকে আটকে দিয়ে ১১ রানে ২ উইকেট নেন পেসার শফিকুল ইসলাম। ২৫ রানে ৩ উইকেট পান রাজা।
Comments