শাল্লায় সাম্প্রদায়িক হামলায় অভিযুক্ত স্বাধীনের জামিন, এখনো কারাগারে ঝুমন

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁওয়ে হিন্দু অধ্যুষিত গ্রামে হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুর মামলার প্রধান আসামি শহীদুল ইসলাম স্বাধীনকে জামিন দিয়েছে সুনামগঞ্জের আদালত।
শহীদুল ইসলাম স্বাধীন ও ঝুমন দাশ আপন

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁওয়ে হিন্দু অধ্যুষিত গ্রামে হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুর মামলার প্রধান আসামি শহীদুল ইসলাম স্বাধীনকে জামিন দিয়েছে সুনামগঞ্জের আদালত।

আজ তার জামিন আবেদনের শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করেন সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ওয়াহিদুজ্জামান শিকদার। সুনামগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক সেলিম নেওয়াজ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, এই মামলার অভিযোগপত্র দায়েরের আগ পর্যন্ত জামিনে থাকবেন স্বাধীন।

শহীদুল ইসলাম স্বাধীন সরমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য। দিরাই উপজেলার নাচনী গ্রামে তার বাড়ি। তিনি ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেলেও যুবলীগ তা অস্বীকার করে।

তবে যার ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা হয় সেই ঝুমন দাশ আপন এখনও কারাগারে আছেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল পুলিশ।

হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হকের সমালোচনা করে নোয়াগাঁওয়ের যুবক ঝুমন দাশের একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে গত ১৭ মার্চ ওই গ্রামে হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় গ্রামের ৮৮টি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। মারধর ও লাঞ্ছিত করা হয় গ্রামবাসীকে। বেশ কয়েকটি মন্দিরেও হামলা হয়।

হামলার পরদিন স্বাধীনকে প্রধান আসামি করে গ্রামবাসীর পক্ষে স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদার ও পুলিশের উপ-পরিদর্শক আব্দুল করিম দুটি পৃথক মামলা দায়ের করেন। পরে ঝুমন দাশ আপনের মা-ও স্বাধীনকে আসামি করে আরেকটি মামলা করেন। গত ২মে থেকে মামলাগুলির তদন্তের দায়িত্বে আছে সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।

এদিকে হামলার ঘটনার আগের দিন রাতেই আটক করা ঝুমন দাশ আপন পুলিশের দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের একটি মামলায় এখনো কারাগারে রয়েছেন। একই আদালতে তার জামিনের জন্য কয়েকবার শুনানি হলেও আদালত জামিন আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন বলে জানান তার আইনজীবী দেবাংশু শেখর দাশ।

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago