ওয়াইড নিয়ে আম্পায়ারের সঙ্গে বিবাদে জড়ালেন মাহমুদউল্লাহ
১৯তম ওভারের তৃতীয় বল। ওয়াইড লাইনে ইয়র্কর করেছিলেন পেসার মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। ওয়াইড লাইন বরাবর পড়া বলে শট খেলেননি ব্যাটসম্যান তানজিম সাকিব। আম্পায়ার তানবীর আহমেদ ওয়াইড দিলে উত্তেজিত হয়ে পড়তে দেখা যায় গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে।
ওই ওয়াইড অবশ্য ম্যাচে শেষ পর্যন্ত কোন তফাৎ করেনি। এক বল আগেই গাজীর ১৩০ রান পেরিয়ে এক উইকেটে জিতেছে আবাহনী লিমিটেড।
মুকিদুলের বলটির সময় লঙ অফে ফিল্ডিং করছিলেন মাহমুদউল্লাহ। আম্পায়ার ওয়াইড দিতেই চিৎকার করে কিছু আপত্তিকর ভাষা ব্যবহার করতে শোনা যায় তাকে। মাহমুদউল্লাহকে শান্ত করতে ছুটে আসেন লেগ আম্পায়ার মাসুদুর রহমান মুকুল।
মিনিট খানেক বিতর্কের পর ফিল্ডিংয়ে ফেরত যান গাজীর অধিনায়ক। পরের বলে আবার একই ওয়াইড লাইনে বল করেন মুকিদুল। এবার ওয়াইড লাইনে কিছুটা বাইরে হলেও আম্পায়ার তানভির ওয়াইড দেননি। পরের বলে আরও বাইরে বল করেন মুকিদুল। এবার ওয়াইড না দিয়ে কোন উপায় ছিল না। পরের ওভারে আম্পায়ার তানবীরের সঙ্গে মিটমাট করতে দেখা যায় মাহমুদউল্লাহকে। দুঃখ প্রকাশের ভঙ্গি করেন তিনি।
ওয়াইড দিলেও দারুণ বল করে আবাহনীকে বেধে রেখেছিলেন মুকদিল। পঞ্চম বলে শেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্তকে (৪৯ বলে ৫৮) বোল্ড করে খেলা নিয়ে এসেছিলেন নিজেদের দিকে। এরপরের বলে যা হয়েছে তার জন্য নিজেদের দায় দেওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই গাজীর। ১৯তম ওভারের শেষ বলটা বাঁহাতি ব্যাটসম্যান মেহেদী হাসান রানা লং অফে ঠেলে দিয়েছিলেন। সহজ সেই বল পায়ের ফাঁক দিয়ে ছেড়ে দেন শেখ মেহেদী হাসান। ১ রানের জায়গায় হয়ে যায় ৪ রান!
শেষ ওভারে জিততে ৯ রান দরকার ছিল আবাহনীর। হাতে ২ উইকেট। উত্তেজনা তখন তুঙ্গে। প্রথম বলে ১ রান নেন সাকিব। দ্বিতীয় বলে রানা চার মেরে দেন নাসুমকে। তৃতীয় বলে ২ রান নিতে গিয়ে রান আউট হন রানা। শেষ দুই বলে দরকার ছিল ২ রান। পঞ্চম বলে সাকিব লং অফে পাঠিয়েই ২ রান নিয়ে আনেন দারুণ জয়।
Comments