জনসন অ্যান্ড জনসনের ৭ কোটি ডোজ টিকা কিনবে বাংলাদেশ

Johnson
ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

সবার জন্য টিকা নিশ্চিত করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও গ্যাভি পরিচালিত কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় মার্কিন ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জনসন অ্যান্ড জনসনের সাত কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা কিনতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, জ্যানসেন নামের এক ডোজের জনসন অ্যান্ড জনসনের এই টিকা কেনার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যা আগামী বছরের জুন থেকে পাওয়া যাবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক গতকাল সোমবার এ বিষয়ে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘কয়েক দিন আগে কোভ্যাক্স থেকে আমাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, আগামী বছরের জুন থেকে আমরা মডার্না নাকি জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা পেতে চাই। জনসনের টিকাটি এক ডোজের হওয়ায় আমরা সেটা কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) তহবিল ব্যবহার করে এই টিকা কেনা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

যদি ১২ কোটি লোককে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়ে থাকে, তাহলে এই সাত কোটি ডোজ দিয়ে ৬০ শতাংশ মানুষের টিকাদান নিশ্চিত করা যাবে।

আজ-কালের মধ্যে ফিরতি চিঠিতে সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্তের বিষয়টি কোভ্যাক্সকে জানানো হবে মন্তব্য করে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘কোল্ডচেইনের সীমাবদ্ধতার জন্য মডার্নার টিকা আমরা নেব না।’

গত ১৫ ‍জুন ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর দেশে জরুরি ব্যবহারের জন্য জনসন অ্যান্ড জনসনের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেয়।

ওষুধ প্রশাসন কর্তৃক এটাই এক ডোজের করোনার টিকা অনুমোদনের প্রথম ঘটনা। এর আগে তারা জরুরি ব্যবহারের জন্য পাঁচটি দুই ডোজের করোনার টিকার অনুমোদন দিয়েছে।

কোভিড-১৯ প্রতিরোধে জ্যানসেন নামের এই ভ্যাকসিনটি ১৮ বা তার বেশি বয়সী মানুষের ব্যবহারের জন্য।

এর মধ্যে ডব্লিউএইচও, দ্য ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সি (ইএমএ), দ্য ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব দ্য ইউনাইটেড স্টেটস অব অ্যামেরিকা এবং হেলথ কানাডা জরুরি ব্যবহারের জন্য এই ভ্যাকসিনটির অনুমোদন দিয়েছে।

জনসনের এই ভ্যাকসিনটি দুই থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা যায়। তাই এটা বাংলাদেশে সংরক্ষণ ও সরবরাহ চ্যানেলের জন্য উপযোগী।

ইংরেজি থেকে অনুবাদ করেছেন মামুনুর রশীদ

Comments

The Daily Star  | English
Govt employees protest at Secretariat May 2025

The right way to reform the public administration

Bangladesh needs a bureaucracy that serves its citizens with professionalism and integrity, not one driven by blind obedience.

10h ago