প্রবাসে

বাহরাইনে আংশিক লকডাউন ২ জুলাই পর্যন্ত

বাহরাইনে করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে চলমান আংশিক লকডাইন ও বিধিনিষেধ আগামী ২ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
করোনার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে আংশিক লকডাউনের সময় বাহরাইনের রাজধানী মানামার একটি এলাকা। ছবি: স্টার

বাহরাইনে করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে চলমান আংশিক লকডাইন ও বিধিনিষেধ আগামী ২ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দেশটির করোনা প্রতিরোধে নিয়োজিত জাতীয় টাস্কফোর্স আংশিক লকডাইন বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে।

সরকারি ঘোষণায় বলা হয়েছে, প্রতিদিনের শনাক্তের ক্রমহ্রাসমান প্রবণতা বজায় রাখার জন্য বাড়তি এক সপ্তাহের জন্য সতর্কতা বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

হঠাৎ করে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ২৭ মে মধ্যরাত থেকে ১০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত নতুন করে আংশিক লকডাউন আরোপ করা হয়েছিল। পরে ২৫ জুন পর্যন্ত দুই সপ্তাহের জন্য বাড়ানো হয়।

বিধিনিষেধের আওতায় শপিং মল, খুচরা দোকান, সেলুন, হেয়ারড্রেসার, শপিং মল, স্পা, সিনেমা হল, জিম, ক্রীড়া সুবিধা, সুইমিং পুল, সৈকত এবং বিনোদন অঞ্চলগুলো বন্ধ থাকবে। ক্রীড়া ইভেন্টে সমর্থকদের উপস্থিতি স্থগিত থাকবে।

রেস্তোরাঁ ও ক্যাফেতে পরিষেবা কেবল গ্রহণ ও ডেলিভারির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। বাড়ির জমায়েত ও অনুষ্ঠান এবং যেকোনো সম্মেলন ও অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ থাকবে।

স্কুল এবং উচ্চতর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কিন্ডারগার্টেন, পুনর্বাসন কেন্দ্র, নার্সারি এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহ, আন্তর্জাতিক পরীক্ষার জন্য উপস্থিতি ব্যতীত বন্ধ থাকবে। বাড়ি থেকে দূরশিক্ষণে পড়াশোনা চলবে।  ৩০ শতাংশ সক্ষমতায় সরকারি মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের কার্যক্রম চলবে, বাকি ৭০ শতাংশ  কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘরে বসে কাজ করতে হবে।

এই সময়ে সুপারমার্কেট, হাইপারমার্কেট, মুদির দোকান, বেকারি, ফলমূল ও শাকসবজির দোকান, টাটকা মাছ ও কসাইখানা, পেট্রোল পাম্প এবং প্রাকৃতিক গ্যাস স্টেশন, বেসরকারি হাসপাতাল ও ফার্মেসি এবং টেলিযোগাযোগ সেবার দোকান খোলা থাকবে।

এ ছাড়া, ব্যাংক ও মানি এক্সচেঞ্জ, বেসরকারি সংস্থা ও অফিস, আমদানি-রপ্তানি, বিতরণ ব্যবসা নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ খাত এবং সব কারখানা খোলা থাকবে। 

টাস্কফোর্স বলেছে, মেডিকেল ডেটা এবং করোনা পরিস্থিতির উন্নয়নের ওপর ভিত্তি করে এই খাতগুলো নির্ধারিত সময়ের পর ধীরে ধীরে পুনরায় চালু করা হবে।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সোমবার পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৬৩ হাজার ২৯৫ জন। এক হাজার ৩১১ জন মারা গেছেন এবং সুস্থ হয়েছেন দুই লাখ ৫৪ হাজার ৯১৩ জন। করোনায় মারা যাওয়া প্রবাসীদের মধ্যে ৭২ জন বাংলাদেশি।

এ পর্যন্ত দেশটিতে করোনা টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১০ লাখ ৪৫ হাজার ৩১৭ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন নয় লাখ ১০ হাজার ৪৩৬  জন।

করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় গত ৪ জুন থেকে আরও ১০ দেশের জন্য বাহরাইনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বেসমারিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ।

প্রায় ১৮ লাখ জনসংখ্যার ছোট্ট দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে দুই লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি রয়েছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus seeks US support to rebuild Bangladesh, implement reforms

Tells US delegation that Bangladesh is in a significant moment in its history

2h ago