ইবাদতের তোপের পর সোহান-তানবিরের শেষের ঝড়

মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টির সুপার লিগের ম্যাচে শেখ জামাল ধানমন্ডি জিতেছে ৭ উইকেটে।
Ebadat Hossain
ম্যাচ সেরা ইবাদত হোসেন। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

শুরুতে উইকেট তুললেন, মিডল অর্ডারেও আঘাত হানলেন। পেসার ইবাদত হোসেন রানও দিলেন না। তার দারুণ বোলিংয়ে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব আটকে গেল দেড়শোর অনেক আগে। রান তাড়ায় শঙ্কা জাগলেও দলে তীরে ভিড়িয়েছেন নুরুল হাসান সোহান আর তানবির হায়দার।

মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টির সুপার লিগের ম্যাচে শেখ জামাল ধানমন্ডি জিতেছে ৭ উইকেটে। বুধবার সকালের ম্যাচে মোহামেডান আগে ব্যাট করে করতে পারে কেবল ১৩৩ রান। ১ ওভার আগে সেই রান পেরিয়ে জিতেছে সোহানের দল। ম্যাচ জিতলেও লিগ শিরোপার দৌড়ে নেই শেখ জামাল। সুপার লিগে এই নিয়ে তিন ম্যাচের সবগুলো হারা সেই দৌড়ে নেই আগে থেকেই। 

মোহামেডানকে অল্প রানে আটকে ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন ইবাদত। হয়েছেন ম্যাচ সেরাও।

রান তাড়ায় শেখ জামালের চারজন রান পেলেও কাজের কাজটা করেছেন অধিনায়ক সোহান আর অলরাউন্ডার তানবির। ৩১ বলে ৩৬ করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন কিপার ব্যাটসম্যান সোহান। মাত্র ১৭ বলে ৩২ করে কঠিন সমীকরণ সহজ করে দেন তানবির।

সহজ লক্ষ্য তাড়ায় প্রথম ওভারেই ছন্দে থাকা সৈকত আলিকে হারিয়েছিল শেখ জামাল। এরপর মোহাম্মদ আশরাফুল-ইমরুল কায়েসের জুটি জমে যায়। আশরাফুল বলে-রানে সমান রাখলেও ইমরুল ছিলেন কিছুটা আগ্রাসী। এই দুজনকে আলগা করতে চাপ বাড়ায় মোহামেডান। শুভাগত হোমের এক ওভারে চাপে পড়েই কাবু ইমরুল। কয়েকটি ডট বলের পর স্টাম্প ছেড়ে মারতে গিয়ে তিনি হন বোল্ড। ২১ বলে ২৫ করা ইমরুলের আউটে ভাঙ্গে ৫৫ রানের জুটি।

আরেক প্রান্তে আশরাফুল হয়ে যান মন্থর। মাঝের ওভারে আসিফ হাসানকে মেডেন দিয়ে দেন তিনি। এক ছক্কায় কিছুটা পুষিয়ে দেওয়ার পর রানের আসিফের সোজা বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন ৪২ বলে ৩৮ করা এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।

এরপর খেলায় ফেরার সম্ভাবনা জাগিয়েছিল মোহামেডান। শেষ ৩০ বলে দরকার ছিল ৪৮ রান। তখনই মোড় ঘোরানো ব্যাটিং তানবিরের। সোহানকে ছাপিয়ে তিনিই হয়ে যান অগ্রণী। ইয়াসিন আরাফাত মিশু, আবু জায়েদ রাহিকে পিটিয়ে ম্যাচ করে দেন সহজ।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে গিয়ে আব্দুল মজিদকে শুরুতে হারিয়ে ফেলে মোহামেডান। তিনে নেমে ইরফান শুক্কুর এদিন ঝড় তুলতে পারেননি। ১৮ বল খেলে ১৭ রান করে আউট হন। পারভেজ হোসেন ইমন পরে শামসুর রহমান শুভকে নিয়ে গড়েন জুটি। তৃতীয় উইকেটে দুজনের জুটিতে আসে ৬১ রান। শুরুতে থিতু হতে সময় নেওয়া পারভেজ পরে বড় শটে পুষিয়ে দিচ্ছিলেন। লেগ স্পিনার মিনাহাজুল আবেদিন আফ্রিদির বলে স্লগ করতে গিয়ে ৩৫ বলে ৪৬ রানে বিদায় তার।

১৩তম ওভারে ওই উইকেটের পর মাহমুদুল হাসান লিমনকে নামিয়ে ভুল করে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। মাহমুদুল গুরুত্বপূর্ণ ওই সময়ে ১২ বল খুইয়ে করতে পারেন মাত্র ৩। শুভাগত হোম নেমে সেই চাপেই দ্রুত ক্যাচ দিয়ে বিদায়।

পুরো টুর্নামেন্টে ব্যর্থ শামসুর ছিলেন ফিফটির কাছে। কিন্তু তার ৪০ বলে ৪৯ রানের ইনিংস শেষ হয়েছে ইবাদতের বলে কিপারের হাতে ধরা পড়ে। মোহামেডানেরও পাওয়া হয়নি ম্যাচ জেতার মতো পুঁজি।

 

 

 

 

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

4h ago