পদ্মা সেতুতে কর্মরত চীনা প্রকৌশলী নিখোঁজ

স্টার ফাইল ফটো

পদ্মা সেতু প্রকল্পে কর্মরত চীনা প্রকৌশলী জো জিয়ান চেং (৩৮) গতকাল রাত থেকে নিখোঁজ আছেন। মঙ্গলবার রাত ৮টায় মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার পদ্মা সেতুর নির্মাণাধীন বৈদ্যুতিক খুঁটির বার্জ থেকে তিনি নিখোঁজ হন। এরপর ১৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।

আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, তার অনুসন্ধানে অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস ও কোস্ট গার্ডের ডুবুরি, নৌ-পুলিশ ও পদ্মা সেতুর নিরাপত্তায় থাকা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা। দুপুর দুইটা পর্যন্ত তার খোঁজ পাওয়া যায়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পদ্মা সেতুর একজন প্রকৌশলী জানান, রাতের শিফটে মূল পদ্মায় বার্জে কাজ শুরু করেন চাইনিজ প্রকৌশলী। সর্বশেষ তাকে রেলিংয়ের পাশে বসে থাকতে দেখা যায়। এ সময় অন্য দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীরা কাজ করছিলেন। কাজের প্রয়োজনে খোঁজাখুঁজি শুরু হলে তাকে সেখানে পাওয়া যায়নি। এরপর সব জায়গায় খুঁজেও তাকে পাওয়া যায়নি। প্রায় ৬ মাস হলো তিনি কাজে যোগ দিয়েছিলেন।

শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার দেওয়ান আজাদ জানান, বুধবার ভোর সাড়ে ৫টায় ঢাকা থেকে আগত ছয় সদস্যের ডুবুরি দল তার সন্ধানে অভিযান চালাচ্ছে। পাশাপাশি নৌ-পুলিশও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে। তবে, তিনি পানিতে পড়েছেন কিনা তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। তারা শুধু বলছেন, খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

মাওয়া নৌ-পুলিশের অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল কবীর জানান, জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ থেকে নৌ-পুলিশকে নিখোঁজের খবর জানানো হয়। এরপর রাত সাড়ে ৯টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে ট্রলারের মাধ্যমে উদ্ধার অভিযান শুরু করে নৌ-পুলিশের সদস্যরা।

মাওয়া কোস্ট গার্ড স্টেশনের পেটি অফিসার মো. ফখরুল দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, আজ সকাল ৮টা থেকে কোস্টগার্ডের চার ডুবুরি ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। বার্জে কর্মরত শ্রমিক-প্রকৌশলীরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারছেন না তিনি কীভাবে নিখোঁজ হয়েছেন। তবে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি হয়তো পানিতে পড়ে গিয়েছেন।

Comments

The Daily Star  | English

SC orders EC to restore Jamaat's registration

The Appellate Division of the SC scrapped a High Court verdict that had declared Jamaat's registration with the EC as a political party "illegal"

54m ago