পাবনায় আজ একদিনে সর্বোচ্চ ৮৮ জনের করোনা শনাক্ত

ছবি: সংগৃহীত

পাবনায় উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। জুনের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত পাবনায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়তে শুরু করেছে। 

জেলা সিভিল সার্জন অফিসের পরিসংখ্যান বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় পাবনায় ৮৮ জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। দৈনিক সংক্রমণের হার ১২ দশমিক ৫৯ শতাংশ। এটাই পাবনা জেলায় এখন পর্যন্ত এক দিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণের রেকর্ড। একই সময়ের মধ্যে করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। 

জেলা সিভিল সার্জন অফিসের পরিসংখ্যান বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গত ৩ জুন পর্যন্ত পাবনায় দৈনিক সংক্রমণের হার ছিল মাত্র শূন্য দশমিক ৮১ শতাংশ, অন্যদিকে সাপ্তাহিক সংক্রমণের হার ছিল ১ দশমিক ৮৮ শতাংশ। সেসময়ে দৈনিক সুস্থতার হার ছিল ১৩৩ শতাংশ ও সাপ্তাহিক সুস্থতার হার ছিল ১৫৬ শতাংশ। দৈনিক সুস্থতার হার এখন ১৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করে।

পাবনা জেলা সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘বর্তমানে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় সুস্থতার হার কম বলে মনে হচ্ছে। হঠাৎ করে অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে চিকিৎসকদেরও হিমশিম খেতে হচ্ছে।’

২৫০-শয্যার পাবনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

হাসপাতালের সহকারি পরিচালক ডা. আয়ুব হোসেন জানান, পাবনা জেনারেল হাসপাতালে হাই ফ্ল অক্সিজেন সরবরাহ না থাকায় তাদের সিলিন্ডার থেকে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে অতি দ্রুত হাসপাতালে সিলিন্ডার দিয়ে হাই ফ্লো অক্সিজেন সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘জনসাধারনকে বার বার সচেতন করার চেষ্টা করা হলেও অনেকেই এখনও স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করলে একটি-দুটি হাসপাতাল দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।’

পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায় সেজন্য সবাইকে এখনই সচেতন হয়ে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার আহবান জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Muslim pilgrims pray at Mount Arafat in hajj apex

Thousands of pilgrims began to gather before dawn around the hill and the surrounding plain

1h ago