চলচ্চিত্র

চলচ্চিত্রের কবি আব্বাস কিয়ারোস্তামি

আশির দশকে সারা বিশ্বে ইরান যখন পরিচিত মানবতাবিরোধী নিষিদ্ধ নিষ্ঠুর দেশ হিসেবে ঠিক তখনই তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য গ্র্যাজুয়েট এক তরুণ শিল্পী যেন দৃশ্যপট পাল্টে দিলেন তার তুলির ছোঁয়ায়। তখন নতুন ধারার চলচ্চিত্রে পুরনো নিয়ম ভেঙে নতুন কিছুর ভাবনা। ষাটের দশকে ইরানে শুরু হয়েছিল নতুন ধারার চলচ্চিত্রের অবিস্মরণীয় এক যাত্রা।
আব্বাস কিয়ারোস্তামি

আশির দশকে সারা বিশ্বে ইরান যখন পরিচিত মানবতাবিরোধী নিষিদ্ধ নিষ্ঠুর দেশ হিসেবে ঠিক তখনই তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য গ্র্যাজুয়েট এক তরুণ শিল্পী যেন দৃশ্যপট পাল্টে দিলেন তার তুলির ছোঁয়ায়। তখন নতুন ধারার চলচ্চিত্রে পুরনো নিয়ম ভেঙে নতুন কিছুর ভাবনা। ষাটের দশকে ইরানে শুরু হয়েছিল নতুন ধারার চলচ্চিত্রের অবিস্মরণীয় এক যাত্রা।

১৯৭০ সালে নিজের প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি ‘দ্য ব্রেড অ্যান্ড অ্যালি’ দিয়েই নিজের জাত চিনিয়ে দিলেন এই তরুণ চলচ্চিত্রকার। চারুকলা বিভাগ থেকে সদ্য স্নাতক পাশ করা এই শিল্পীর ভাবনা তখন ফটোগ্রাফি করবেন। কিন্তু এক সিদ্ধান্তেই পালাবদলে তার জীবনে চলচ্চিত্র এলো।

১৯৬৯ সালে দারিয়ুশ মেহরুজির বিখ্যাত সিনেমা ‘গব’ এর মাধ্যমে যখন ইরানী নবতরঙ্গের যাত্রা শুরু হয় তখন কিয়ারোস্তামি নিজের চেষ্টায় কানুন তথা Institute for the Intellectual Development of Children and Young Adults এ চলচ্চিত্র বিভাগ গঠন করলেন। কানুনে নির্মিত তার প্রথম চলচ্চিত্র ছিল ১২ মিনিটের স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রামাণ্য চিত্র ‘দ্য ব্রেড অ্যান্ড অ্যালি’।

১৯৭২ সালে তিনি নির্মাণ করলেন ‘ব্রেকটাইম’। এক সময়ে এসে কানুন হয়ে উঠে ইরানের অন্যতম সেরা চলচ্চিত্র স্টুডিও। কানুন থেকে বিখ্যাত সব চলচ্চিত্রের প্রযোজনা হয়েছিল।

সত্তরের দশকে আব্বাস কিয়ারোস্তামি নতুন ধারার চলচ্চিত্রের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে পড়েন। যেখানে তিনি বলেছেন, ‘সামগ্রিক অবস্থান দ্বারা আমি প্রভাবিত হলাম। আমার মনে হলো নৈতিক দিক এবং সমাজের চিরায়ত বাস্তবতাকেই আমাদের চলচ্চিত্রে তুলে ধরে উচিত।’

‘দ্য ব্রেড অ্যান্ড অ্যালি’ নিয়ে তিনি এক জায়গায় লিখেছিলেন, ‘চলচ্চিত্রে আমার যাত্রাটা ভীষণ কঠিন ছিল। বিশেষ করে প্রথম চলচ্চিত্রে তো কি করব আমি বুঝেই উঠতে পারছিলাম না। কারণ প্রথম চলচ্চিত্রে আমাকে কাজ করতে হয়েছিল অপেশাদার সব কর্মী নিয়ে। যারা কিনা একটার পর একটা অভিযোগ করেই যাচ্ছে। কেবল এক শিশু, ওই কুকুর আর আমার সিনেমাটোগ্রাফার বাদে সবাই অপেশাদার।’

আব্বাস কিয়ারোস্তামি, যিনি চলচ্চিত্রের সমস্ত ফ্রেম ভেঙে নিজের মতো গড়েছেন

১৯৮৭ সালে যেন ঝড়ের মতো আবির্ভূত হলেন আব্বাস কিয়ারোস্তামি। মুক্তি তার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘হোয়ার ইজ দ্য ফ্রেন্ডস হোম’। এই চলচ্চিত্রের কাহিনী সহজ-সরল কিন্তু অসম্ভব শক্তিশালী।

মূল চরিত্র আহমেদ নামের এক আট বছর বয়সের স্কুল ছাত্র, যাকে কিনা তার বন্ধু মোহামেদ রেজা নেমাসজাদেহর নোটখাতা ফিরিয়ে দিতে হবে। স্কুল থেকে ভুলে সে এটা নিয়ে এসেছে এবং আগামীকাল স্কুল শুরুর আগে ফেরত দিতে না পারলে তার বন্ধু বাড়ির কাজ করতে পারবে না এবং তাকে স্কুল থেকে বের করেও দেওয়া হতে পারে। বন্ধুর বাড়ি পাশের গ্রামে, কিন্তু বাড়িটি সে চেনে না। একেক জনের কাছে জিজ্ঞেস করে সে খাতা নিয়ে বাড়িটি খুঁজতে থাকে। চলচ্চিত্রের প্রথমেই আমরা দেখি সেই খাতা দিতে যাওয়ার জন্য মায়ের সামনে তাকে কত অভিনয় করতে হয়। কিন্তু মা কিছুতেই ছাড়বে না। মা ভাবছে নিশ্চয়ই খেলতে যাবে ছেলে। কয়েকবার আড়ালে বের হতে গিয়েও মায়ের হাতে ধরা পড়ে সে। মা বকুনি দেয়। অবশেষে সে বেরোতে পারে। পাহাড়ের আঁকাবাঁকা পথ বেয়ে কখনো গাধার পিঠে আরোহী দরজা বিক্রেতাকে অনুসরণ করে, একটার পর একটা বাড়িতে প্রশ্ন করেই যায়।

বারবার ইরানের গ্রাম্য দৃশ্য তুলে ধরা এবং সহজ-সরল বাস্তবতা এই চলচ্চিত্রের মূল বৈশিষ্ট্য। আমরা দেখতে পাই এই চলচ্চিত্রের ক্যামেরার ফ্রেমের ব্যবহার কতোটা নান্দনিক হতে পারে। ছবিটির বিষয়ে আব্বাস কিয়ারোস্তামি বলেছিলেন, তিনি এই চলচ্চিত্র বানিয়েছিলেন এক বালকের দৃষ্টিকোণ থেকে। এই চলচ্চিত্র ছিল তার কোকের ট্রিলজির প্রথম চলচ্চিত্র। ১৯৯২ সালের লাইফ অ্যান্ড নাথিং এবং ১৯৯৪ সালের থ্রু দি অলিভ ট্রিস হলো এই ট্রিলজির বাকি দুই ছবি।

কারণ এই ট্রিলজির সবগুলো চলচ্চিত্র উত্তর ইরানের এক প্রত্যন্ত পাহাড়ি গ্রাম ‘কোকের’ কে কেন্দ্র করে। চলচ্চিত্রগুলোর ভিত্তি ১৯৯০ সালের মনজিল-রুদবার ভূমিকম্প যাতে ৪০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গিয়েছিল। কিয়ারোস্তামি জীবন, মরণ, পরিবর্তন এবং সন্ততি এই থিমগুলোর মাধ্যমে তিনটি চলচ্চিত্রকে সংযুক্ত করেছিলেন।

অবশ্য কিয়ারোস্তামি বলতেন এই তিনটি চলচ্চিত্র ট্রিলজি না। বরং হোয়ার ইজ দ্য ফ্রেন্ডস হোম আলাদা। তবে লাইফ অ্যান্ড নাথিং মোর এবং থ্রু দি অলিভ ট্রিস ও ১৯৯৭ সালে মুক্তি পাওয়া মাস্টারপিস চলচ্চিত্র টেস্ট অব চেরি ট্রিলজির হতে পারে। এই প্রসঙ্গে বলে রাখি ১৯৮৭ সালে কিয়ারোস্তামি ‘দ্য কি’ চলচ্চিত্রের স্ক্রিপ্ট লিখেছিলেন। আবার সম্পাদনাও করেছিলেন তিনি। কিন্তু পরিচালনা করেননি। পরিচালক ছিলেন আরেক মাস্টার ফিল্মমেকার ইব্রাহিম ফরুজেশ।

হোয়ার ইজ দ্য ফ্রেন্ডস হোমের পরের চলচ্চিত্র হলো ১৯৮৯ সালে নির্মিত বিখ্যাত চলচ্চিত্র হোমওয়ার্ক। কিন্তু সব পাল্টে দিলো ১৯৯০ সাল। ১৯৯০ সালে মুক্তি পেল তার বিখ্যাত ‘ক্লোজ আপ’ চলচ্চিত্র। সত্য ঘটনা অবলম্বনে হওয়া এই চলচ্চিত্রে দেখা যায় একজন ছদ্মবেশী চলচ্চিত্রকার একটি পরিবারের কাছে নিজেকে কিংবদন্তি চলচ্চিত্রকার মোহসেন মাখমালবাফ নামে পরিচয় দিচ্ছেন এবং বলছেন তার পরবর্তী চলচ্চিত্রে এই পরিবারের সদস্যদের দিয়ে অভিনয় করাবেন। একসময় বুঝতে পেরে পরিবারটি তাকে চুরি-ডাকাতির দায়ে অভিযুক্ত করে। কিন্তু ছদ্মবেশী হোসেন সাবজিয়ান দাবি করেন ছদ্মবেশ ধারণের কারণ অনেক জটিল।

আধা প্রামাণ্য আধা কল্পিত এই চলচ্চিত্রে সাবজিয়ানের মাখমালবফের ছদ্মবেশ ধারণের পেছনে নৈতিক দায়বদ্ধতা যাচাই করে দেখা হয় এবং তার সাংস্কৃতিক ও শৈল্পিক দক্ষতা বা নৈপুণ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়। এই চলচ্চিত্রটি সাড়া ফেলে দিলো গোটা বিশ্বে। এর কাহিনীর অভিনবত্ব অবিশ্বাস্য।

জঁ লুক গলার, নান্নি মোরেত্বি, কুয়েন্টিন টারান্টিনো, ভের্নার হেরৎসগ, স্কোরসেজির মতো বিশ্বখ্যাত চলচ্চিত্রকারেরা এই চলচ্চিত্রের ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন।

১৯৯২ সালে কিয়ারোস্তামি নির্মাণ করলেন ‘কোকের ট্রিলজি’র দ্বিতীয় চলচ্চিত্র বিখ্যাত চলচ্চিত্র ‘লাইফ এন্ড নাথিং মোর।’ এই ছবিতে দেখা যায়, একজন বাবা তার বালক ছেলেকে নিয়ে তেহরান থেকে কোকের গ্রামে যাচ্ছেন নিজের গাড়ি চালিয়ে। উদ্দেশ্য, দুটি ছেলেকে খুঁজে বের করা যারা ভূমিকম্পে মারা গিয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ করতে থাকে বাবা-ছেলে।

ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত অঞ্চলের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় তারা বেঁচে যাওয়া অনেক মানুষের মুখোমুখি হয় যারা এত কষ্টের মাঝেও জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। কোকের ত্রয়ীর শেষ চলচ্চিত্র ছিল ‘থ্রু দ্য অলিভ ট্রিস’। এই চলচ্চিত্র এক চলচ্চিত্রকারকে কেন্দ্র করে আবর্তিত। যিনি চলচ্চিত্রের জন্য কোকের এ এলেন। এই চলচ্চিত্রে দেখা যায় চলচ্চিত্রের দৃশ্য ধারণ, অভিনয় চলছে।

অ্যাড্রিয়ান মার্টিনের মতো বিখ্যাত চলচ্চিত্র সমালোচকরা কোকের ত্রয়ীর নির্মাণ পদ্ধতিকে ডায়াগ্রামাটিক্যাল বা জ্যামিতি আকৃতিমূলক বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘চলচ্চিত্রে দেখানো গ্রামের দৃশ্যগুলোকে আঁকাবাঁকা পথ এবং জীবন ও পৃথিবীর বিভিন্ন শক্তির জ্যামিতি বহিঃপ্রকাশ স্পষ্ট।’

কোকের ত্রয়ী বলে পরিচিত এই তিন চলচ্চিত্র গড়ে উঠেছিল একটি গ্রামেই। তথা কোকের গ্রামে। ১৯৯০ সালের মনজিল-রুদবার ভূমিকম্প হয়েছিল এই গ্রামে। যেখানে মারা গিয়েছিলেন প্রায় চল্লিশ হাজার মানুষ। কিওরোস্তামি সেই গ্রামেরই জীবন, মরণ, পরিবর্তন এবং পুনর্জন্ম এই ধারার মাধ্যমে তিনটি চলচ্চিত্রকে যুক্ত করেছিলেন। অবশ্য কিয়রোস্তামি নিজে এই তিন চলচ্চিত্রকে ত্রয়ী হিসেবে মানতে নারাজ ছিলেন।

এরপরেই আব্বাস কিয়ারোস্তামি চিত্রনাট্য লিখলেন দুটি বিখ্যাত চলচ্চিত্রের। প্রথমটি বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার আলী রেজা রাইসিয়ান এর ‘দ্য জার্নি’ চলচ্চিত্র অপরটি বিশ্বখ্যাত ইরানী চলচ্চিত্রকার জাফর পানাহির প্রথম চলচ্চিত্র ‘দ্য হোয়াইট বেলুন’। কান উৎসবে এটি সেরা চলচ্চিত্র নির্বাচিত হয়েছিল ১৯৯৫ সালে। এরপরেই তিনি নির্মাণ করলেন টেস্ট অব চেরি। অনেকে এই চলচ্চিত্রকে আব্বাস কিয়ারোস্তামির শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র বলে থাকেন। ১৯৯৭ সালে কানে এটি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র তথা পাম দোর পুরস্কার পায়।

এই চলচ্চিত্রের কাহিনী খুব সাধারণ হলেও মনোজগতকে নাড়া দিবে প্রচণ্ডভাবে। ছবির কাহিনী বাদি নামক এক ব্যক্তিকে ঘিরে যিনি আত্মহত্যা করতে বদ্ধ পরিকর, তার পরিকল্পনা হচ্ছে অনেক ঘুমের ওষুধ খেয়ে নিজের খোঁড়া কবরে শুয়ে থাকবেন। কিন্তু সকালে এসে কাউকে তার দেহের উপর মাটি দিয়ে যেতে হবে। মানে মৃত্যুর পর কেমন অনুভূতি হয় তা দেখতে চাওয়া। এমন একজনকেই তিনি প্রায় পুরো চলচ্চিত্র জুড়ে খুঁজে বেড়ান। কিন্তু কেউই রাজি হয় না। এই চলচ্চিত্রের প্রধান চরিত্র ছিল সম্পূর্ণ অপেশাদার একজন শিল্পী। তেমন আব্বাস কাজ করেছিলেন শিশু শিল্পীদের নিয়ে ঠিক তেমনই।

২০০৮ সালে আব্বাস কিওরোস্তামি নির্মাণ করলেন ‘শিরিন’ চলচ্চিত্র। ইরান তথা সারা বিশ্বে বিখ্যাত খসরু ও শিরিনের প্রেম কাহিনী নিয়ে। অনেকে এই চলচ্চিত্রকে বলে থাকেন চলচ্চিত্রের কবিতা। এতোটাই বিখ্যাত চলচ্চিত্র এটি। টু ইচ হিচ ওন, সার্টিফাইড কপি, লাইক সামওয়ান ইন লাভ এর মতো চলচ্চিত্র কিংবা এবিসি আফ্রিকার মতো প্রামাণ্য চিত্রের জন্মও তার হাতে। একাধারে চলচ্চিত্রের স্ক্রিপ্ট, ডিরেকশন, সিনেমাটোগ্রাফি, এডিটিং, মিউজিক, সাউন্ড , সেট সহ একটা চলচ্চিত্রের সবকিছুতে কিয়ারোস্তামিই সর্বসেবা। ডিরেক্টর ইজ সুপিরিয়র বস, যেন তার চলচ্চিত্রেই প্রমাণ মিলে।

বিশ্বখ্যাত জাপানী চলচ্চিত্রকার আকিরা কুরোসাওয়া তাইতো বলেছিলেন, ‘শব্দ আমার অনুভূতিকে ব্যক্ত করতে পারবে না। আমি বরং আপনাদের তার চলচ্চিত্র দেখার পরামর্শ দেব; তাহলেই বুঝতে পারবেন আমি কী বলতে চাইছি। সত্যজিৎ রায় চলে যাওয়ার পর খুব বিষণ্ণ হয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু কিয়ারোস্তামির চলচ্চিত্র দেখার পর ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানালাম, কারণ আমরা তার একজন ভালো বিকল্প পেয়েছি। উন্নত বিশ্বের চলচ্চিত্র যখন নিম্নগামী, চলচ্চিত্র নির্মাণে স্বল্প অভিজ্ঞ জাতিগুলো তখন মূল্যবান সৃষ্টি উপহার দিচ্ছে। কিয়ারোস্তামির চলচ্চিত্র দেখার পর বিষয়টা আমাকে আরও গভীরভাবে ভাবাচ্ছে।’

বলে রাখা ভালো আব্বাস কিয়ারোস্তামি গভীরভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্র দেখেই।

টোকিওতে ‘হোয়ার ইজ দ্য ফ্রেন্ডস হোম ও ‘লাইফ, অ্যান্ড নাথিং মোর’ চলচ্চিত্রের প্রদর্শনীতে বিতরণের জন্য ছাপা লিফলেট থেকে। দীর্ঘ চলচ্চিত্র জীবনে অন্য বিখ্যাত নির্মাতাদের নিয়েও কুরোসাওয়া তেমন একটা কথা বলেননি। মজার বিষয় হলো আন্দ্রেই তারকোভস্কি, সত্যজিৎ রায় ও জন কাসাভেটসের পর আব্বাস কিয়ারোস্তামি চতুর্থ পরিচালক, যার প্রশংসা সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ জাপানি চলচ্চিত্রকার আকিরা কুরোসাওয়া করেছিলেন।

আজ বিশ্বখ্যাত ইরানী চলচ্চিত্রকার আব্বাস কিয়ারোস্তামির জন্মদিন। জন্মদিনে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করি চলচ্চিত্রের কবিকে।

 

সূত্র - Abbas Kiarostami’s Cinema of Life/ Julian Rice The Emperor and I / Film International Is Cinema Renewing Itself?/ Laurent Kretzschmar

 

[email protected]

Comments

The Daily Star  | English

Country must be back in business without delay

Amid worker unrest and insecurity in the industrial sector, entrepreneurs and bankers have urged the new administration to focus on rebuilding confidence in the economy.

3h ago