লকডাউন: শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ভিড়

অধিকাংশ ফেরিতে স্বল্পসংখ্যক যানবাহনের পাশাপাশি শত শত যাত্রীকে পার হতে দেখা যায়। ছবি: স্টার

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ যাত্রী পারাপারে বিধিনিষেধ থাকা সত্ত্বেও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার নৌপথ দিয়ে হাজার হাজার যাত্রী পদ্মা পার হয়েছেন।

আজ বুধবার সকাল থেকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাবাজার এলাকায় ঢাকামুখী যাত্রীদের ভিড় বাড়তে থাকে। অধিকাংশ ফেরিতে স্বল্পসংখ্যক যানবাহনের পাশাপাশি শত শত যাত্রীকে পার হতে দেখা যায়। সে তুলনায় শিমুলিয়া ঘাটে দক্ষিণাঞ্চলগামী যাত্রীদের চাপ ছিল কিছুটা কম।

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে মুন্সিগঞ্জসহ ঢাকার পার্শ্ববর্তী সাত জেলায় গতকাল ভোর ৬টা থেকে লকডাউন শুরু হয়। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রকোপ ব্যাপকহারে বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে এই বিধিনিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

আজ লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে দুই ঘাটের পাশাপাশি মুন্সিগঞ্জ জেলার ভেতরেও বিধিনিষেধ মানার ক্ষেত্রে মানুষের ঢিলেঢালা ভাব লক্ষ্য করা গেছে। ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করে পুলিশের নজর এড়িয়ে বিভিন্ন পথে যাত্রী চলাচল অব্যাহত ছিল। আবার নারায়ণগঞ্জ থেকে অনেককে পায়ে হেঁটে মুক্তারপুর সেতুর চেকপোস্ট পার হয়ে বিভিন্ন যানবাহনে চড়ে গন্তব্যে যেতে দেখা যায়। তবে, মুন্সিগঞ্জ সদর থেকে লৌহজং উপজেলার মাওয়াঘাট পর্যন্ত কোনো চেকপোস্ট চোখে পড়েনি।

মুন্সিগঞ্জ শহরে সবধরনের দোকানপাট ছিল খোলা। বাজার ও বিপণিবিতানগুলোতেও ছিল মানুষের ভিড়। অনেকের মুখে মাস্কও ছিল না।

এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. নোমান হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘লকডাউনে বিপণিবিতান খোলা কিংবা বন্ধ থাকবে কিনা, সে ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি। তবে, কলকারখানা খোলা রাখার ব্যাপারে সরকার কেন্দ্রীয়ভাবে ঘোষণা দিয়েছে। জেলা প্রশাসনের একটি সভা হবে। সেখানে বিধিনিষেধের ব্যাপারে নতুন নির্দেশনা আসবে।’

শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় কথা হয় বরিশালগামী যাত্রী আদনান হোসেনের সঙ্গে। দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগত কাজে নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় চড়ে ভেঙে ভেঙে শিমুলিয়া ঘাট পর্যন্ত এসেছি। পথে কোনো বাধা পাইনি। ঘাটে প্রবেশের ক্ষেত্রেও কোনো অসুবিধা হয়নি।’

শরীয়তপুর থেকে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী রবিন হোসেন জানান, জাজিরা থেকে বাংলাবাজার হয়ে ফেরিতে চড়ে শিমুলিয়া ঘাট পর্যন্ত পৌঁছেছেন তিনি। তবে, এখানে এসে ঢাকা পর্যন্ত পৌঁছাতে পরিবহন সংকটের কারণে কিছুটা বিপাকে পড়তে হয়েছে তাকে।

শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান জানান, এই নৌপথে সারাদিনে ১৫টি ফেরি চলাচল করেছে।

তার বক্তব্য, লাশবাহী গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি পরিষেবার আওতাধীন গাড়ি পারাপারের জন্য ফেরি চালু রাখা হয়েছে। কিন্তু, নিষেধ করা সত্ত্বেও সাধারণ যাত্রীরা ফেরিতে উঠে পড়েন। একবার ঘাট পর্যন্ত পৌঁছে গেলে তাদের আটকে রাখা যায় না।

Comments

The Daily Star  | English

ADP implementation lowest in five years

The government implemented only 41% of ADP in 10 months

33m ago