ঝড়ো ফিফটিতে দোলেশ্বরকে জেতালেন শামীম
মন্থর হয়ে পড়া উইকেটে রনি তালুকদার ছাড়া কেউই পেলেন না রান। কামরুল ইসলাম রাব্বি, শফিকুল ইসলামদের তোপে প্রাইম ব্যাংকও পেল না বড় পুঁজি। তবে সহজ রান তাড়ায় নেমে বিপদে পড়ে গিয়েছিল প্রাইম দোলেশ্বরও। সেই বিপদ থেকে বাঁচিয়ে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দলকে জিতিয়েছেন শামীম হোসেন পাটোয়ারি।
বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সুপার লিগে সন্ধ্যার ম্যাচ হয়েছে লো স্কোরিং। তাতে প্রাইম ব্যাংককে ৫ উইকেটে হারিয়ে শিরোপার আশা টিকিয়ে রেখেছে প্রাইম দোলেশ্বর। আগে ব্যাট করে রনির ৩৯ বলে ৫৯ রানে ১২৬ রান করতে পারে প্রাইম। ৭ বল আগে ওই রান পেরিয়ে যায় দোলেশ্বর। মাত্র ৩০ বলে ৫২ রান করে তাদের নায়ক শামীম।
দোলেশ্বর জেতায় প্রাইম ব্যাংককে সরিয়ে পয়েন্ট টেবিলে আবার এক নম্বরে উঠেছে আবাহনী। প্রাইম ব্যাংক, আবাহনী দুই দলেরই সমান ২২ পয়েন্ট, তবে আবাহনী এগিয়ে রইল রানরেটে। দোলেশ্বর আছে ২১ পয়েন্ট নিয়ে। তিন দলের সামনেই থাকছে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ।
১২৭ রানের লক্ষ্যে ইমরানুজ্জামান- তৌকির খান আনতে পারেননি ভালো শুরু। মাত্র ১২ রানের মধ্যেই বিদায় নেন দুজন। তিনে নামা সাইফ হাসান ধীরে আসা বলের দাবি মাটিয়ে রান বাড়াচ্ছিলেন। তবে ফজলে রাব্বি খেলেছেন গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। মাত্র ১২ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ২০ করে রানরেট বাড়িয়ে যান রাব্বি।
অলক কাপালিকে ছক্কা মারতে গিয়ে সাইফ ফিরেছেন ৩১ বলে ২৭ রান করে। ৬৯ রানে পড়ে গিয়েছিল ৪ উইকেট। এরপরই শুরু শামীমের প্রভাব বিস্তারি ব্যাটিং। দারুণ সব পাওয়ার হিটিংয়ে এই তরুণ বুঝিয়ে দেন কেন তাকে নেওয়া হয়েছে জাতীয় দলে। মার্শাল আইয়ুব আউট হলেও একা হাতে ৪ চার, ৩ ছক্কায় খেলা শেষ করে দেন তিনি।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রাইম ব্যাংকের হয়ে কার্যকর রান করেছেন একজনই। রনি তালুকদার শুরুতেই নেমে দ্রুত রান আনতে থাকেন। তার ব্যাটে মনে হচ্ছিল বড় পুঁজির দিকেই ছুটবে প্রাইম। কিন্তু বাকিদের ব্যর্থতায় সব হয়েছে এলোমেলো। দলের ৩৩ রানে রুবেল মিয়া ফেরেন ১০ বলে ৮ রান করে। অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় ২ বলে ১ রান করেই রান আউট। মোহাম্মদ মিঠুনকে ১ রানেই ফিরিয়ে দেন কামরুল ইসলাম রাব্বি।
কামরুল বল করেছেন দারুণ। দারুণ খেলতে থাকা রনিকে ফিরিয়েছেন তিনি। তবে ৮ চার ১ ছক্কায় ৫৯ করা রনির আউট নিয়ে আছে বিতর্ক। আম্পায়ার এলবিডব্লিউ দিলেও বল তার ব্যাটে লেগেছে কিনা সেই সংশয় মেটেনি।
কামরুল পরে ফেরান অলককেও। ৪ ওভার বল করে মাত্র ১০ রান দিয়ে তিনি নেন ৩ উইকেট। আরেক পেসার শফিকুল ইসলাম স্লগ ওভারে টপাটপ উইকেট তুলে প্রাইমকে বাড়তে দেননি। ৩৫ রানে ৪ উইকেট তুলেন তিনি।
Comments