সাতক্ষীরা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে আরও ৮ জনের মৃত্যু

করোনা ডেডিকেটেড সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও আট জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে একজন করোনা পজিটিভ ছিলেন এবং বাকিদের করোনার উপসর্গ ছিল।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ছবি: সংগৃহীত

করোনা ডেডিকেটেড সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও আট জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে একজন করোনা পজিটিভ ছিলেন এবং বাকিদের করোনার উপসর্গ ছিল।

একই সমেয়ে সাতক্ষীরায় জুন মাসের সর্বনিম্ন ৩০ দশমিক ৩৭ শতাংশ করোনা শনাক্ত হয়েছে। জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ১৮০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৬৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ছিল ৩৭ দশমিক ২২ শতাংশ। এদিকে, গত ৫ জুন থেকে সাতক্ষীরায় লকডাউন চলছে। চতুর্থ দফা লকডাউনের আজ প্রথম দিন।

সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের চিকিৎসা কর্মকর্তা জয়ন্ত সরকার দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকাল আটটা থেকে শুক্রবার সকাল আটটা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৫৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় করে ৪৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ১৮০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৬৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। শনাক্তের হার ছিল ৩৭ দশমিক ২২ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার কমেছে ৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ।

তিনি আরও জানান, জেলায় মৃত্যুর হার কমছে না। করোনা ডেডিকেটেড সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন সাত থেকে ১০ জন মারা যাচ্ছেন। গত ২৪ ঘণ্টায়ও একজন করোনা একজন পজিটিভ রোগী ও উপসর্গ নিয়ে সাত জন মারা গেছেন। এ পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ৬৬ জন ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে ৩০৪ জন। জেলায় এ পর্যন্ত ১২ হাজার ২২২ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছেন তিন হাজার ১৬৫ জন।

করোনা ডেডিকেটেড সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তত্বাবধায়ক ডা. কুদরত-ই-খোদা জানান, ২৫০ শয্যার হাসপাতালে বর্তমানে ২৭০ জন ভর্তি আছেন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির জানান, মানুষ যাতে লকডাউন মেনে চলে সেজন্য নানা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত চালু আছে। মাস্ক ব্যবহার না করা, সামাজিক দূরত্ব মেনে না চলা ও প্রয়োজন ছাড়া শহরে ঘোরাঘুরি করার অপরাধে বৃহস্পতিবার ৪৮টি মামলায় ৩৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Half of Noakhali still reeling from flood

Sixty-year-old Kofil Uddin watched helplessly as floodwater crept into his home at Bhabani Jibanpur village in Noakhali’s Begumganj upazila on August 10. More than a month has passed, but the house is still under knee-deep water.

3h ago